Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দলীয় অনুশাসন না মেনে প্রকাশ্যে শুভেন্দুর জেলায় বাড়ছে বিজেপির দ্বন্দ্ব, চিন্তা

দলীয় অনুশাসন না মেনে প্রকাশ্যে শুভেন্দুর জেলায় বাড়ছে বিজেপির দ্বন্দ্ব, চিন্তায়..........
বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগেই বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। সদ্…

 

দলীয় অনুশাসন না মেনে প্রকাশ্যে শুভেন্দুর জেলায় বাড়ছে বিজেপির দ্বন্দ্ব, চিন্তায়..........


বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগেই বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। সদ্য এই দ্বন্দ্বের তালিকায় নাম এসেছে শিল্প শহর হলদিয়ার। গত লোকসভা ভোটে যেখানে ফুটেছে পদ্ম, সেখানে স্থানীয় বিধায়ক এবং তমলুকের সাংসদের 'লড়াই এসেছে। গেরুয়া শিবিরেই এই অবস্থায় তৃণমূলের আখেরে লাভ হবে বলেমত জেলারাজনৈতিকমহলের। সাংসদ এবং বিধায়কে উত্তর দ্বন্দ্বের কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ সরকার আজিজুল রহমান এবং জেলা যুব সভাপতি আজগর আলি পল্টু।

রবিবার হলদিয়া টাউনশিপে বিজেপি প্রভাবিত ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের (বিএমএস) আয়োজনে একটি শ্রমিক সম্মেলন হয়। তাতে যোগ দিয়েছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংসদ সাফ জানান, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের নামের সঙ্গে মিল রেখে অন্য একটি সংগঠন দ্বারা কেউ যাতে প্রতারিত না হন। বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, এভাবে সাংসদ কার্যত হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে কটাক্ষ করেছেন। কারণ, বছরখানেক আগে শিল্প শহরে একটি শ্রমিক সংগঠন তৈরি হয়।তার নাম দেওয়া হয়েছিল 'ভারতীয় জনতা মজদুর সেল (বিজেএমসি)। বিজিএমসি'র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শ্যামল মাইতি। দাবি, মূলত বিজেপি বিধায়ক তাপসী এবং শ্যামল ওই সংগঠন পরিচালনা করেন।ররিবারের ওই সভায় তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির জেলা (কাঁথি) কার্যকরী কমিটির সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারীও ছিলেন। তবে অভিজিৎ যখন নাম না করে কার্যত তাপসীদের বিঁধছেন, তখন অবশ্য তিনি সভা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোনও পক্ষ না নিয়ে পরে নীরব থেকেছেন বিরোধী দলনেতার ভাই দিব্যেন্দু। তিনি বলেন, "রবিবার সাংসদ যখন বক্তৃতা করছিলেন, তার প্রায় এক ঘন্টা আগে সভা কক্ষ ছেড়েছিলাম। তাই এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তনেবেন।" পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা রয়েছে। এর মধ্যে গত লোকসভা ভোটে ১৫টি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।

কিন্তু ওই নির্বাচনের পরে গত এক বছরে গেরুয়া শিবিরে যে ভাবে কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে তাতে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ছে জেলা বিজেপিতে। যদিও সাংসদ-বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলী বলেন, "বিরোধী দলনেতা এবং সাংসদ আমাদের পাশে রয়েছেন। যে কোন সুবিধা অসুবিধাতে পাশে দাঁড়াবেন আশ্বাস দিয়েছেন।" দলের এমন কোন্দল প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, "আমরা যাঁরা বিজেপি দলটা করি, তারা সবাই বিজেপি পরিবারের সদস্য। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। তবে তা মিটে যাবে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব বিষয়টি নিশ্চয়ই দেখবেন। বিধানসভা ভোটে আমাদের এই সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।"

No comments