শঙ্করপুরে গঙ্গোৎসবের সূচনা! দিঘা-শঙ্করপুরে গঙ্গোৎসব সমুদ্রে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারলেন কয়েক হাজার মানুষ। দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত কাঁথি মহকুমার সমুদ্র উপকূলে রবিবার ভোররাত থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। কাঁথি মহকুমার দিঘা, শৌল…
শঙ্করপুরে গঙ্গোৎসবের সূচনা!
দিঘা-শঙ্করপুরে গঙ্গোৎসব সমুদ্রে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারলেন কয়েক হাজার মানুষ। দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত কাঁথি মহকুমার সমুদ্র উপকূলে রবিবার ভোররাত থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। কাঁথি মহকুমার দিঘা, শৌলা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, জুনপুট সৈকত ছাড়াও খেজুরির রসুলপুর নদীতে জন্য ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা। দিঘা সৈকতে ৫০হাজারেরও বেশি মানুষ এ দিন সমুদ্রস্নান করেছেন বলে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়।
দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত কাঁথি মহকুমার সমুদ্র উপকূলে শনিবার ভোররাত থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। কাঁথি মহকুমার দিঘা, শৌলা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, জুনপুট সৈকত ছাড়াও খেজুরির রসুলপুর নদীতে জন্য ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা। দিঘা সৈকতে ৫০হাজারেরও বেশি মানুষ এ দিন সমুদ্রস্নান করেছেন বলে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়।
ভিড় সামলাতে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। স্থানীয় পদিমা ১ পঞ্চায়েত, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তা শিবির খোলা হয়। অস্থায়ী শিবিরে চিকিৎসা, পানীয় জল ও বিভিন্ন পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হয়। বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের পক্ষ থেকে বাড়তি বাসের ব্যবস্থাও ছিল।
দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, জুনপুট ও শৌলাতে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির উদ্যোগে শুরু হয়েছে গঙ্গোৎসব। রবিবার রাতে শঙ্করপুরে গঙ্গোৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গির। সুদৃশ্য প্রতিমা, মণ্ডপ ও তোরণ, আলোক মালায় সেজে উঠেছে গোটা শঙ্করপুর। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ‘সি ফুড ফেস্টিভ্যাল’। এদিন স্থানীয় এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, পৌষপার্বণ হিন্দু ধর্মের মানুষের বিশেষ পার্বণ। কেউ গঙ্গাতে স্নান করেন আবার কেউ সমুদ্রে স্নান করেন- এটা আমাদের চিরাচরিত প্রথা। এটা আমাদের ধর্ম। এটা আমাদের করতে হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, শঙ্করপুর একটা মৎস্য বন্দর। এখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। আমি চাই যে, এখানে মৎস্য দফতর কিছু উন্নয়ন করুক। আমি এইবছর এখানে বিধায়ক তহবিল থেকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দেবো। তবে শঙ্করপুরে গঙ্গা মন্দিরের জন্য একটা প্রস্তাব সরকারকে আমি পাঠাবো। চলতি বছরেই শঙ্করপুরে স্থায়ী গঙ্গা মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর হবে বলে জানান অখিল গিরি। এদিন স্থানীয় এলাকার কয়েকশো দু:স্থ মানুষদের শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মেধাবী দু:স্থদের বিশেষ আর্থি সাহায্য তুলে দেন বিধায়ক অখিল গিরি ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা শঙ্করপুর ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বদেশ রঞ্জন নায়ক।
No comments