Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্যা কবলিত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট এলাকায় ফসল বিমার ক্ষতিপূরণ বিলিতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ

বন্যা কবলিত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট এলাকায় ফসল বিমার ক্ষতিপূরণ বিলিতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপিপূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গত বর্ষায় বন্যাবিধ্বস্ত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বাংলা "শস্য বীমা&…

 



বন্যা কবলিত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট এলাকায় ফসল বিমার ক্ষতিপূরণ বিলিতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ

 মুখ্যমন্ত্রীকে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গত বর্ষায় বন্যাবিধ্বস্ত পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বাংলা "শস্য বীমা"র ক্ষতিপূরণ বিলিতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিল-কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। ওই স্মারকলিপির কপি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাকেও দেওয়া হয়েছে বলে পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করেন,একই পরিবারের বিভিন্ন ওয়ারিশানগণের একই মৌজায় সমপরিমাণ জমি থাকা সত্বেও কোন একজন আবেদনকারী যে পরিমাণ টাকা পেয়েছেন,অন্য একজন ওয়ারিশান তার থেকে কম টাকা পেয়েছেন,আবার কোনও ওয়ারিশান এখনো কোন টাকাই পাননি। যেমন-কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাগিচা-কুমারচক গ্রামের বাসিন্দা নিবাস ও প্রশান্ত সামন্ত উভয়ের পিতা গৌর হরি সামন্ত। ওনাদের বাঙালপুর,দেড়িয়াচক,বাগিচা-কুমারচক মৌজায় ২৫ ডেসিমেল করে জমি রয়েছে। গত বর্ষার আমন ধানচাষে একইভাবে উভয়ের ক্ষতি হয়েছে। অথচ নিবাস সামন্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ পেয়েছেন ৪১০০ টাকা, প্রশান্ত সামন্ত পেয়েছেন ৯০০ টাকা। ওই ব্লকেরই শীতলা পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজয় ও সুজয় পন্ডিত। সুজয় পন্ডিতের ২.৪১ একর জমি রয়েছে,সে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে ৩৬০০ টাকা। অন্যদিকে বিজয় পন্ডিতের ৩.০৪ একর জমি রয়েছে। সে কোন ক্ষতিপূরণের টাকাই পায়নি। দুজনই একই বীমা কোম্পানির এজেন্টের কাছে একই দিনে পূরণ করা ফর্ম জমা দিয়েছিল। 

অন্যদিকে যে সমস্ত মৌজায় মাছের ঝিল রয়েছে,তাদের জমির "রকম" জল থাকায় তারা ওই ক্ষতিপুরনের টাকা পেলেও বহু কৃষক যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।

 নারায়নবাবুর অভিযোগ,আবেদনকারীরা এ সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চাইলে বীমা কোম্পানির এজেন্ট বা কৃষি দপ্তর কোন তথ্য বলতে চাইছেন না, কলকাতার হেড অফিস দেখাচ্ছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারকে স্মারকলিপি দিয়ে ফসল বীমা সংক্রান্ত সমস্ত রকম তথ্য আবেদনকারীদের জানার জন্য একটি "হেল্পলাইন" চালুর আবেদন জানানো হয়েছে। সাথে সাথে পূরণ করা ফর্ম ম্যানুয়ালি পোর্টালে নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি থাকলে তাও সংশোধন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান,সে ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।  

No comments