হাত পা বেঁধে শাশুড়িকে দরজা বন্ধ করে পুড়িয়ে মারল বৌমা!
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুতাহাটা থানার অন্তর্গত পার্বতীপুর গ্রামে।গত ৭ ই ডিসেম্বর দুপুর তিনটে নাগাদ যখন কেউ বাড়ি ছিল না, সেই সময় বৌমা শাশুড়ির হাতে পায়ে দড়ি ব…
হাত পা বেঁধে শাশুড়িকে দরজা বন্ধ করে পুড়িয়ে মারল বৌমা!
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুতাহাটা থানার অন্তর্গত পার্বতীপুর গ্রামে।গত ৭ ই ডিসেম্বর দুপুর তিনটে নাগাদ যখন কেউ বাড়ি ছিল না, সেই সময় বৌমা শাশুড়ির হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে কেরোসিন তেল দিয়ে দরজা বন্ধ করে পুড়িয়ে দেয় এবং ছোট কিছু শব্দ বাজিও সেই আগুনে ফেলে দেয় বৌমা। আওয়াজ শুনে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখে সব শেষ। মৃত বৃদ্ধার নাম রাজুবালা দাস বয়স প্রায় ৯০ বছরের কাছাকাছি। পাশের বাড়ির লোকজন আগুন দেখে ছুটে আসে তৎক্ষণাৎ আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘরের ভেতরে মৃত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে মাটিতে বৃদ্ধ মহিলা। তখনই খবর দেয়ে সুতাহাটা থানায়। তৎক্ষণাৎ পুলিশ চলে আসে । পুলিশ আশার আগেই বৌমা অর্থাৎ পুতুল রানী দাস পালিয়ে যায় ঘর ছেড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বৌমা শাশুড়িকে সহ্য করতে পারত না এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো। তাই সেই দিন হঠাৎ বাড়িতে কেউ না থাকায় পা হাত বেঁধে দরজা বন্ধ করে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় শাশুড়িকে। পুলিশ এসে পুড়িয়ে যাওয়া মৃতদেহকে নিয়ে যায় এবং ঘরের দরজা সিল করে দিয়ে যায়। মৃতের বৌমা ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গেই নিখোঁজ হয়ে যায়। বিশেষ সূত্রে জানা যায় গতকাল রাত্রেই সুতাহাটা থানার সামনে ঘুরাঘুরি করছিল পুতুল রানী দাস অর্থাৎ মৃতের বৌমা, সেই সময় আটক করে পুলিশ পুতুল রানী দাস কে। মৃত বৃদ্ধার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় হলদিয়া কুমার হাসপাতালে। আজ ৮ ই ডিসেম্বর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেবে। এরকম একটি ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া গোটা গ্রাম জুড়ে। আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা। সুতাহাটা থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছেন।
No comments