মহিষাদল রথতলায় তৃণমূলের সভায় কি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার!
বাংলার সবথেকে বড় গদ্দার, বিশ্বাসঘাতক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তার রাজনৈতিক জীবন করুন অবস্থার দিকে যাচ্ছে । রবিবার মহিষাদল…
মহিষাদল রথতলায় তৃণমূলের সভায় কি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার!
বাংলার সবথেকে বড় গদ্দার, বিশ্বাসঘাতক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তার রাজনৈতিক জীবন করুন অবস্থার দিকে যাচ্ছে । রবিবার মহিষাদলের রথতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে সভায় এমনই বক্তব্য পেশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার । দিন কয়েক আগে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল অ্যাণ্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা । সেই উদ্দেশ্যে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে ছিল রথ তলায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সভা । তাতে শুভেন্দুকে নিশানা করেই বক্তারা আক্রমণ শানিয়েছেন । গত বৃহস্পতিবার শুভেন্দু সেই রথ তলায় বিজেপির সভায় দাঁড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীকে কটূ ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন । বিধায়কের একসময়ের পেশাকে টেনে বিধায়কেই আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু । সেই অপমানের পাল্টা ঝাঁজ রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে । দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন,"বিজেপির মধ্যেই শুভেন্দুর প্রতি তীব্র ঘৃণা রয়েছে । বিজেপির বিধায়কদের বেশিরভাগই শুভেন্দুকে গুরুত্ব দেন না । তারা শুভেন্দুর ডাকে মিটিং মিছিলে যান না । ওর নেতৃত্বে জয় পাচ্ছে না বিজেপি । হেরে হেরে হারাধন শুভেন্দু । শুভেন্দু এখন যাওয়ার পথে । ওর রাজনৈতিক জীবন, করুন অবস্থার দিনটা দেখতে পাচ্ছি । কোনদিন দেখবো, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে কালিঘাটে দিদির যাওয়ার পথে ষাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়ে আছে শুভেন্দু,আর বলছে দিদি ক্ষমা করো । বাংলার সব থেকে বড় গাদ্দার শুভেন্দু, বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দুর রাজনৈতিক জীবন ঘনিয়ে আসছে ।" মহিলাদলের মাটিতে দাঁড়িয়ে, মহিষাদলের বিধায়ককে আক্রমণ করার জবাবও বিধায়ক নিজেই সভায় দাঁড়িয়ে দিয়েছেন । মহিলাদলের আবেগকে নিয়ে শুভেন্দু শুধু কটাক্ষ করছেন না, অপমানও করেছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী । তিনি বলেন,"শুভেন্দু মহিষাদলের আবেগকে আহত করেছেন । কারুর জীবিকা, কর্মজীবনকে টেনে খাটো করা ওনার স্বভাবের মধ্যে রয়েছে । আমার ভাই শুভব্রত চক্রবর্তীকে হত্যা করেছেন উনি । প্রতিহিংসা পরায়ণ শুভেন্দু অধিকারী । সেটা তাঁর বক্তব্যের প্রমাণিত হয়েছে । নিম্ন রুচির মানুষ শুভেন্দু অধিকারী, বাংলার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছেন বহু জায়গায় বহু সভায় । এখন সনাতন সনাতন বলে বাংলার সম্প্রীতির পরিবেশটা নষ্ট করছেন উনি । সনাতন কথার মানে জিজ্ঞেস করলে বলতেই পারবেন না । সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে যিনি বাংলার শান্তি নষ্ট করছেন, বাংলার মানুষের সম্প্রীতি নষ্ট করছেন, ঐতিহ্যে আঘাত করছেন, ধ্বংস করছেন, তাকে অ্যারেস্ট করা দরকার ।" পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক এদিন এই সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন । উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মানস কুমার পণ্ডা, মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতি প্রমুখ ।
No comments