হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে পিপিই কিট ছাড়া শ্রমিকদের কাজ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগহলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে পিপিই কিট ছাড়া শ্রমিকদের কাজ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। শ্রমিকদের আরো অভিযোগ, পেট্রোকেম কর্তৃপক্ষকে …
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে পিপিই কিট ছাড়া শ্রমিকদের কাজ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে পিপিই কিট ছাড়া শ্রমিকদের কাজ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। শ্রমিকদের আরো অভিযোগ, পেট্রোকেম কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে জেলাশাসক-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা, বিধায়ক এবং সংসদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পেট্রোকেমের ঠিকা শ্রমিকদের একাংশ। পেট্রোকেম কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস কারখানায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় বাম চোখের দৃষ্টি হারান ঠিকা শ্রমিক লাল মোহন মণ্ডল। রাজ্য সরকারের তরফে নিম্নমানের পিপিই কিট সরবরাহ করার অভিযোগে হলদিয়া আদালতে মামলা করা হয়। সেই মামলাতে হলদিয়া পেট্রো ক্যামিকেলসের সিইও নভনীত নারায়ন এবং প্লান্ট হেড সঞ্জয় ভাটনগরকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন হলদিয়া আদালত। সশরীরে হাজিরার উপর ১৩ ডিসেম্বর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের ঠিকা শ্রমিকদের একাংশ জেলাশাসক-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জন প্রতিনিধিদের দরবারে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থা পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকু্যুপমেন্ট) ছাড়া কাজ করতে বাধ্য করে। আরও অভিযোগ, একেবারে উদাসীন হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষ। একাধিক অগ্নিকাণ্ড এবং দুর্ঘটনা কারখানা চত্বরে ঘটলেও তা থেকে শিক্ষা নেননি পেট্রোকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে প্রতিবাদ জানানোয় ৭ জন শ্রমিকের গেট পাশ পুনর্নবীকরণ হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঠিকা শ্রমিকেরা হলদিয়া ডেপুটি লেবার কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ডেপুটি লেবার কমিশনারের তরফে সব পক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী শ্রমিকেরা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। হলদিয়া ডেপুটি লেবার কমিশনার সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। শ্রমিকেরা চুক্তির বাইরে গিয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবি করেছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবি মানেননি। কর্তৃপক্ষ কখনও কারও গেট পাস আটকে দেয় না। কারখানায় যে পিপিই কিট দেওয়া হয় সেগুলি কারখানা কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা দলের সদস্যেরা পরীক্ষা করার পরে শ্রমিকদের হস্তান্তর করা হয় বলেও জানানো হয়েছে।
No comments