জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলো জেলা তৃণমূলএগরায় একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে এগরায় একটি জনসভা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধীদলনেতা…
জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলো জেলা তৃণমূল
এগরায় একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে এগরায় একটি জনসভা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনী কেন্দ্র এগরা থেকে জেড়থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভোট লুট করার জন্য। সেই লুটের নেতৃত্ব দিয়েছিলো এগরা ১ ব্লক তৃণমূল সংখ্যালঘু নেতৃত্ব আয়ুপ খান। রবিবার বিকালে এগরার ঠিক একই জায়গায় সেই সভার পাল্টা সভা করে তৃণমূল। এদিন সেই সভায় উপস্থিত হয়ে পটাশপুরের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে বলবো সহজ পদ্ধতিতে সোজা ভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দান করেছে, আগামীদিনে ও তাই হবে। শুভেন্দুর আমলে অতীতের নির্বাচনের নির্ঘন্ট দেখলেই বোঝা যায় আসল জেহাদিটা কে! পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে কটাক্ষ করে বলেন যারা পুরোনো আদি বিজেপি কর্মী তাঁরা কখনই ভাবেনি একটা ভাড়াটিয়া প্লেয়ার এসে পার্টিটাকে দখল করে পৈতৃক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা করবে, তাই যেসমস্ত বিজেপি কর্মীর শুভবুদ্ধি উদ্ভব হয়েছে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে চলে আসছে। এদিন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, আমাদের আদালত হচ্ছে জনতার আদালত, আমরা নির্বাচনে যাই, মানুষ যাকে গ্রহণ করে তিনিই নেতা। সামনে কার্ড ব্যাংকের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী চেয়ারম্যান থাকার কারণে, ভিতরে ভিতরে কিছু হয়তো গোপনে গোপনে করছেন। যদি আমরা দেখি নিয়ম বিরুদ্ধ কোনো কাজ হচ্ছে তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী ততোদিন নির্বাচনটাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এবারের কার্ড ব্যাংকের নির্বাচনে সেরকম যদি দেখি নিশ্চিতভাবে আইনত ব্যবস্থা নেবো। পাশাপাশি জেড়থানের তৃণমূল নেতা আয়ুপ খান সভা মঞ্চে শুভেন্দু আধিকারিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, আয়ুপ মুম্বাইর অন্ধেরি ব্যবসা করি। আমার ব্যবসার জায়গা ও সমস্ত তথ্য দিচ্ছি। যদি দম আছে আমার কিছু করার থাকলে করুক। পাশাপাশি বলেন হিন্দু মুসলিমের মধ্যে তিনি যে বিভাজন তৈরী করতে চাইছেন, যদি ক্ষমতা থাকে এগরার বুকে RSS একটি সভা করে দেখাক। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযুষ কান্তি পন্ডা, এগরা পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নায়ক, এগরা পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়ন্ত সাউ, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুরজ আলী, এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি উদয় পাল সহ অন্যান্যরা। সভা শেষে এদিন এগরা শহর বিজেপির সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, আজকের তৃণমূলের সভা যে মাঠে হয়েছিল সেই মাঠে কয়েক দিন আগেও বিজেপির সভা হয়েছিল, উপচে পড়া ভিড় ছিল। আজকে তৃণমূলের মাঠ ফাঁকা। এর থেকেই প্রমাণিত মানুষ বিজেপির সাথে আছে। বিগত লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি লিড পেয়েছে। এগরার MLA যতই লাফালাফি করুক, এগরা পৌরসভার মানুষ উনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর পরের নির্বাচনেও ৬/৭ হাজার মাইনাস পাবে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপির।
No comments