পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের জলপথে কর্মবিরতির ডাকপশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের জলপথে সকল শাখা ঠিকা শ্রমিকদের দুই দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতির ডাক দিলেন। গত কয়েক মাস আগেই তাদের এই কর্ম বিরতির ড…
পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের জলপথে কর্মবিরতির ডাক
পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের জলপথে সকল শাখা ঠিকা শ্রমিকদের দুই দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতির ডাক দিলেন।
গত কয়েক মাস আগেই তাদের এই কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছিলেন। কর্ম বিরতি মঞ্চে তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয়েছিলেন নিগমের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মদন মিত্র তিনি জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই সেই সমস্যার মিটিয়ে দিবেন কিন্তু সেই সমস্যা সমস্যাই রয়ে গেছে।
আগামী সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিলেন পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণের জল বিভাগের ভেসেলের অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে আগামী সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে দুলদুলি-লেবুতলা, কলকাতা, সাগর, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়, হালিশহরের লঞ্চ পরিষেবা। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আগামী সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীরা। এই কর্মবিরতিতে সর্বস্তরের যাত্রী সাধারণের পূর্ণ সহযোগিতা আশা করছেন অস্থায়ী কর্মীরা। যদিও লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ হলে চরম অসুবিধায় পড়বেন নিত্যদিনের লঞ্চযাত্রীরা।
গতমাসে শারদোৎসবের আগে পূর্ণাঙ্গ বোনাসের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন লঞ্চ পরিষেবার সাথে যুক্ত অস্থায়ী কর্মীরা। গত ৬ অক্টোবর কর্মবিরতির ফলে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি অস্থায়ী কর্মীদের সাথে আলোচনায় বসেন পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণের আধিকারিকেরা। শারদোৎসবের পরই আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি তুলে নেন অস্থায়ী কর্মীরা।
বেলুড় মঠে লঞ্চ পরিষেবার সাথে যুক্ত অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তাঁদেরকে ৩৫৮ টাকা প্রতিদিনের মজুরি হিসেবে কাজ করতে হয়। কোনও ছুটিছাটা না থাকায় কাজে না এলে মাসের মাইনে থেকে রোজের টাকা কেটে নেওয়া হয়। এছাড়া, দীর্ঘ ছয় বছর আগে ৩ শতাংশ মাইনে বাড়ানো হলেও সেই বাড়তি টাকা কোনও অস্থায়ী কর্মী পাননি। কর্মীরা জানান, স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা মিলিত হয়ে এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণের স্থলপথের (বাস) সকল অস্থায়ী কর্মীদের কয়েক বছর আগে স্থায়ীকরণ করা হলেও জলপথের অস্থায়ী কর্মীদের এখনও স্থায়ীকরণ করা হয়নি। বারেবারে পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণের আধিকারিকেরা আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
কর্মীদের অভিযোগ, আধিকারিকদের অনড় মনোভাব ও ঠিকাদারদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধেই আগামী সোমবার সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্থায়ী কর্মীরা।
তাদের মূল দাবি সরকারি ঘোষিত বেতন পরিকাঠামো চালু দ্বিতীয়তঃ ঠিকাদারি প্রথা বাতিল ও সকল কর্মীকে সংস্থা নিজস্ব চুক্তিতে নিয়োগ। তাদের এই সকল দাবি নিয়ে আগামী ১১ই নভেম্বর থেকে কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন এই কর্মবিরতির ডাকের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে ভেসেল পরিষেবা আর সেই ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পথে রাজ্যে জলপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা আসতে চলেছে এই কর্ম বিরতি ডাকের ফলে।
সূত্রে জানা যায় উক্ত দাবী সকল কর্মীগণকে কর্ম বিরতিতে যোগদান এখন সকল যাত্রীদের সহযোগিতা একান্ত ভাবে কামনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের জলপথে সকল শাখার ঠিকা কর্মচারীবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গ বোতল পরিবহন নিগম। শ্রমিকদের দুই দফা দাবি লক্ষ্য নিয়ে অনির্দিষ্টকাল অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কর্ম বিরতি।
No comments