দীঘার মুকুটে নতুন পালক, চার কোটি ব্যয়ে তৈরি হবে চৈতন্যদ্বারসংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘার জগন্নাথধামের অঙ্গ হিসেবে মাসির বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় তৈরি হবে সুদৃশ্য এবং সুবিশাল প্রবেশদ্বার। যার নাম হতে চলেছে ‘চৈতন্যদ্বার’। পুরনো জগন্নাথ মন্দি…
দীঘার মুকুটে নতুন পালক, চার কোটি ব্যয়ে তৈরি হবে চৈতন্যদ্বার
সংবাদদাতা, কাঁথি: দীঘার জগন্নাথধামের অঙ্গ হিসেবে মাসির বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় তৈরি হবে সুদৃশ্য এবং সুবিশাল প্রবেশদ্বার। যার নাম হতে চলেছে ‘চৈতন্যদ্বার’। পুরনো জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাট থেকে যে রাস্তাটি গিয়ে দীঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশেছে, সেখানেই গড়ে উঠবে প্রবেশদ্বার। জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে থাকা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হিডকোই এই কাজ করবে। দিনকয়েক আগে হিডকোর ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাবিত জায়গা মাপজোক করেন। খুব শীঘ্রই প্রবেশদ্বার তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজের জন্য প্রায় চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রবেশদ্বার তৈরির জন্য সমীক্ষা সহ যাবতীয় কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপর নকশা এবং ডিপিআর তৈরি করা হয়। সম্প্রতি টেন্ডার ডেকে একটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। দীঘা ঢোকার মুখে যে প্রবেশদ্বার বা ওয়েলকাম গেটটি রয়েছে, ঠিক সেভাবেই এখানেও প্রবেশদ্বার গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমান উচ্চতায় দীঘা জগন্নাথধাম তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে জোরকদমে। ২০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচে নিউ দীঘায় ভগীব্রহ্মপুর মৌজায় ২০ একর জায়গার উপর মন্দির তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে মূল মন্দিরের কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। এছাড়া মাসির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজও সমানতালে চলছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে দীঘা সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মন্দির নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখবেন। তারপর মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন। কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, তার জন্য হিডকোর প্রতিনিধিদল দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করছেন। দিনকয়েক আগেও তাঁরা মন্দিরের কাজ দেখে যান।
দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, জগন্নাথধাম সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় হিডকো পরিচালনা করছে। উন্নয়ন সংস্থার তরফে সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার বলেন, এই প্রবেশদ্বার দীঘার মুকুটে নতুন পালক হিসেবে যেমন জুড়বে, তেমনি দীঘার সৌন্দর্যও যে বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই
No comments