হলদিয়ায় ডাম্পারে লরির ধাক্কায় মৃত এক, জখম ৪
ডাম্পারের পিছনে লরির ধাক্কা। সেই ডাম্পারের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা যুবকের প্রাণ নিল এই দুর্ঘটনা। গুরুতর জখম তিনজন। গভীর রাতে হলদিয়া- কোলাঘাট ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার…
হলদিয়ায় ডাম্পারে লরির ধাক্কায় মৃত এক, জখম ৪
ডাম্পারের পিছনে লরির ধাক্কা। সেই ডাম্পারের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা যুবকের প্রাণ নিল এই দুর্ঘটনা। গুরুতর জখম তিনজন। গভীর রাতে হলদিয়া- কোলাঘাট ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার তালপুকুর বাস স্টপ লাগোয়া এলাকার দুর্ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে।
মৃত শামসুর খানের (৩৬) বাড়ি স্থানীয় ডিঘাসীপুর গ্রামে। জখম তিনজনের পরিচয় সন্ধ্যা পর্যন্ত জানাতে পারেনি ভবানীপুর পুলিশ। চিকিৎসার জন্য জখমদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের ব্ল্যাক টপ ছাড়িয়ে রাস্তার পাশে ডাম্পারটি দাঁড়িয়ে ছিল। শামসুর কাজের জন্য ডাম্পারের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন নন্দকুমার থেকে হলদিয়াগামী লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারে ধাক্কা মারে। ডাম্পার চাপা পড়ে যান শামসুর হলদিয়া-কোলাঘাট জাতীয় সড়কে ভবানীপুর থানার তালপুকুর বাস স্টপ লাগোয়া এলাকায় দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম তিনজনকে চিকিৎসার জন্য রাতেই তড়িঘড়ি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জখমদের নাম-ঠিকানা এখনও পুলিশের হাতে আসেনি। তবে যে লরিটি ধাক্কা মেরেছে, সেটি বিহারের বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় ভবানীপুর থানার আইসি ইমরান মোল্লা জানিয়েছেন, " রাতে দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তিনজন। জখমদের কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। লরি এবং ডাম্পারটিকে আটক করেছি আমরা। তবে লরি কিংবা ডাম্পারের জখম চালক এবং খালাসিদের সঠিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘাতক লরি বিহারের। লরির মালিক কিংবা ট্রান্সপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।” লরির চালকের ভুলের জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হলদিয়া ট্রাফিক থানার ওসি রানা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "খুব সম্ভবত নন্দকুমারের দিক থেকে আসা লরিটির চালক ঘুমন্ত কিংবা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। দুর্ঘটনা রুখতে রাতে ট্রাফিক রুল মেনে চলার যাবতীয় সচেতনতার প্রচার আমরা করে থাকি সারা বছর ধরে। রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করতেও দেওয়া হয় না। তা সত্ত্বেও এরা জেনে বুঝে বিপদ ডেকে আনেন।" জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের বাতি নেই। কোথাও আগে ছিল, সেটি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেই অন্ধকার জায়গাগুলিতে আরও কিছু ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করছে পুলিশ।
No comments