১ কোটি ৭ লক্ষ ‘কৃষক বন্ধু’কে ২৯০০ কোটির অনুদান মমতার রাজ্যের ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২৯০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের অধীনে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই টাকা পাঠানো শুরু…
১ কোটি ৭ লক্ষ ‘কৃষক বন্ধু’কে ২৯০০ কোটির অনুদান মমতার
রাজ্যের ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২৯০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের অধীনে আর কিছুদিনের মধ্যেই এই টাকা পাঠানো শুরু হবে। ছয় জেলার সাতটি বিধানসভা উপ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ২৩ নভেম্বর ফল প্রকাশ। তারপর রাজ্যের কোথাও আর নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে নবান্নের অন্দরে। সেই সূত্রেই আর কয়েকদিনের মধ্যে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষিদপ্তর রাজ্যের চাষিদের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। একজনও যোগ্য প্রাপক যাতে বঞ্চিত না হন, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। সেই মতো পরিকল্পনা করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে এই টাকা দিতে চলেছে দপ্তর। ইতিমধ্যে জেলাভিত্তিক উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মোট উপভোক্তার সংখ্যা গত বারের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে বছরে দু’টি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়। চাষজমির পরিমাণ অনুযায়ী একজন কৃষক বছরে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। লোকসভা নির্বাচনের পরপর, অর্থাৎ মাস পাঁচেক আগে চলতি বছরের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিনে প্রকল্পের মোট উপভোক্তার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। ওই সময়েই ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পও চালু করে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সব্জির ফলনও ব্যাহত হয়েছে বহু জায়গায়। সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে ৩০ নভেম্বরের পরে। ততদিন পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্পে নাম তোলার কাজ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ বাবদ শস্য বিমার টাকাও কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে, ট্যাব-কাণ্ডের পর অন্যান্য প্রকল্পের মতো ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করছে সরকার। এক্ষেত্রে যাতে কোনও কারচুপি বা বিভ্রান্তি না থাকে, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন দপ্তরের কর্তারা। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কৃষক বন্ধু’ এবং ‘বাংলা শস্য বিমা’—দুই প্রকল্পের ক্ষেত্রেই উপভোক্তাদের আধার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়া হয়। কিছু উপভোক্তার ক্ষেত্রে আধার পুনর্যাচাই করে নেওয়া হবে।
No comments