Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অনিমেষের আইবুড়ো ভাত

অনিমেষের আইবুড়ো ভাত
অনিমেষে আইবুড়ো ভাত শেষবারের মতো খাওয়ালেন মা ও মাসি এবং আত্মীয় পরিজন। অশোক কুমার মুখার্জি বড় পুত্র অনিমেষের শুভ পরিণয় অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ই নভেম্বর । আজ ১৬ নভেম্বর মা সুনন্দা চক্রবর্তী মুখার্জি এবং মাসি নন্দিত…

 




অনিমেষের আইবুড়ো ভাত


অনিমেষে আইবুড়ো ভাত শেষবারের মতো খাওয়ালেন মা ও মাসি এবং আত্মীয় পরিজন। অশোক কুমার মুখার্জি বড় পুত্র অনিমেষের শুভ পরিণয় অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ই নভেম্বর । আজ ১৬ নভেম্বর মা সুনন্দা চক্রবর্তী মুখার্জি এবং মাসি নন্দিতা চক্রবর্তী মিশ্র এবং আত্মীয় পরিজনের উপস্থিতিতে অনিমেষকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হলো।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন 

https://youtu.be/2Q33TW4VjnE

আইবুড়ো ভাত কেন খাওয়ানো হয়। মানবিক দিকটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। বিবাহ আনুষ্ঠানিক ও ধর্মীয় দিকটি কি? হিন্দু বিবাহে শাস্ত্রীয় আচারের সঙ্গে সঙ্গে দেশাচার ও কুলাচার এবং স্ত্রী আচারের মর্যাদাও কিছু কম নয়।

হবু নবদম্পতি অর্থাৎ বর ও কন্যাকে বিবাহের আগের দিন জীবাণু নাশক হলুদ তারা গায়ে মেখে (গাত্র হরিদ্রা বা গায়ে হলুদ) স্নান করানো হয়। এরপর পঞ্চব্যঞ্জন (আসলে বহু রকম ভাজা তরকারি মিষ্টি দই ইত্যাদি সহযোগে) আইবুড়ো ভাত বা অবিবাহিত হিসেবে শেষবারের মতো ভাত খাওয়ানো হয়। প্রথমে বিজোড় সংখ্যক সাত অথবা নয় সধবা মধুর সম্পর্কের অল্পবয়সী নারীরা (যেমন দিদি বৌদি বোন ইত্যাদি) সব আইটেম একটু একটু করে নিয়ে বর বা কন্যার মুখে দেন, তারপর সেই নিজে খায় ।এটি প্রকৃত আইবুড়ো ভাত ।এরপর বিয়ে শেষ হওয়ার আগে প্রায় দেড় দিন কিছু খাওয়া যায় না রাত্রে ফল মিষ্টি খেতে হয়। পরের দিন সূর্যোদয়ের আগেই দই চিড়া খাওয়ানো হয় প্রায় সকলেই এত ভোরে কিছু খেতে পারে না এরপর ক্ষীর বা পায়েস খাওয়ানো হয় দুপুরে ! সেটাও খুব সামান্যই। রাতে কন্যা সম্প্রদান বা বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর নিমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়ার শেষে প্রায় মধ্যরাতে আবার সকল উপাচার সহযোগী খেতে পান নব দম্পতি। (অনেকে শুঁকে রেখে দিতে হয়, খেতে নেই!) ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে তার পরের দিন সকাল প্রায় তিন চার ঘন্টা হোম সম্পন্ন হওয়ার পর নব দম্পতি দুপুরে ভাত খেতে পান! সুতরাং আইবুড়ো ভাত নামক অনুষ্ঠানের শারীরিক গুরুত্ব ও প্রচুর। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিয়ের দিন বর কন্যা ছাড়াও বরের পিতা মাতা কে নান্দীমুখ ও শ্রাদ্ধ পর্যন্ত এবং কন্যার পিতা মাতা ও সম্প্রদান কারী ( যদি অন্য কেউ হন ) কে সারাদিন উপবাস পালন  করে রাতে বিবাহ সম্পন্ন হলে খেতে পান । হিন্দু বিবাহ জীবনের দশ অথবা  ষোড়শ  সংস্কারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার , কনো সামাজিক চুক্তি নয় এবং হিন্দুদের বিশ্বাস স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরের জীবনে চতুরবর্গ যেমন ( ধর্ম ,অর্থ, কাম ,  মোক্ষ) লাভের পরস্পর পর সম্পর্ক।

No comments