Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণার ঘটনায় ৩৪ জন প্রধান শিক্ষকের নামে এফআইআরের নির্দেশ ডিএমের!

ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণার ঘটনায় ৩৪ জন প্রধান শিক্ষকের নামে এফআইআরের নির্দেশ ডিএমের!

পূর্ব মেদিনীপুরে ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণার ঘটনায় আরও ৩৪টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হচ্ছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) …

 



ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণার ঘটনায় ৩৪ জন প্রধান শিক্ষকের নামে এফআইআরের নির্দেশ ডিএমের!



পূর্ব মেদিনীপুরে ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণার ঘটনায় আরও ৩৪টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হচ্ছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্রকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। পুজোর ছুটির মধ্যেই চারটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ট্যাব কেনার টাকা সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে যাওয়ার তথ্য সামনে এসেছিল। তারপর জেলায় আরও ৩৪টি স্কুলে একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এপর্যন্ত তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ২৪২জন ছাত্রছাত্রীর টাকা সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার বেলা ১টা নাগাদ জেলাশাসক অফিসে এনিয়ে রুদ্ধদ্বার মিটিং হয়। সেখানে জেলাশাসক ছাড়াও তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন চৌধুরী এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) ছিলেন। কত সংখ্যক স্কুলে কতজন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা থেকে বঞ্চিত সেনিয়ে বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেন জেলাশাসক। এর পাশাপাশি ডিএমের নির্দেশে এদিন ডিআই(সেকেন্ডারি) এবং তমলুকের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এরকম বেশ কয়েকটি স্কুল ভিজিটও করেন। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জেলাশাসক আশ্বাস দেন।

পুজোর ছুটির মধ্যে এই জেলায় চারটি স্কুলে ৬৪জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সেইমতো চণ্ডীপুর ব্লকে দিবাকর হাইস্কুল ও মুরাদপুরে বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট আদর্শ হাইস্কুল এবং মহিষাদলের নাটশাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) তমলুক থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। এরপর আরও ৩৪টি স্কুলে একই ঘটনা ঘটেছে বলে সামনে এসেছে। তমলুকের খামারচক হাইস্কুলে ১৭, খেজুরির গুরুপ্রসাদ বালিকা বিদ্যানিকেতনে ১৯, মহিষাদলের ভোলসরা দ্বারিকানাথ হাইস্কুলে ১২জন, এগরা স্বর্ণময়ী গার্লস হাইস্কুলে ১৩, তাজপুর হাইস্কুলে ২৬, এগরা-২ ব্লকে পাহাড়পুর জেজেএ বিদ্যাপীঠে ১০জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা থেকে বঞ্চিত। এপর্যন্ত মোট ৩৮টি স্কুলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আগেই চারটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়ে গিয়েছে।

২০২২সালে এরাজ্যে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার সময় স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় অনলাইন ক্লাসের মধ্য দিয়ে পঠনপাঠন হয়েছে। এধরনের ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন প্রয়োজন। কিন্তু অনেক ছাত্রছাত্রীর ওই ফোন ছিল না। তখন থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাব কিংবা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০হাজার টাকা অনুদান চালু করে রাজ্য। নামকরণ হয়, তরুণের স্বপ্ন। গত ৪অক্টোবর রাজ্যে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এরকম ৭৮হাজার ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু, ৪অক্টোবরের পর এই জেলার অনেক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইবার হ্যাকাররা বাংলার শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করে অনেক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্ট নম্বর সরিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করে দিয়েছে। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ওইসব ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে।

No comments