Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইনসপেক্টর

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ  গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইনসপেক্টর
সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইনসপেক্টর তপনকুমার ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে …

 


সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ  গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইনসপেক্টর


সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইনসপেক্টর তপনকুমার ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তকে পুলিসি হেফাজতে পাঠান।

আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন তপনকুমার ঘোষ মালদহে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প দেখভাল করতেন। এই প্রকল্পে শ্রমজীবীরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন টাকা পান। এরজন্য বিভিন্ন নথি জমা দিতে হয় তাঁদের। ওই শ্রমজীবীদের তালিকা তৈরি করে ১৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেন তিনি। রাজ্য অর্থদপ্তর এই টাকা ছেড়েও দেয়। যাঁদের নামে টাকা ইস্যু করা হয়েছে তাঁরা আসল উপভোক্তা নাকি ভুয়ো উপভোক্তা সাজিয়ে টাকা বার করা হয়েছে, তা নিয়ে শ্রমদপ্তর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে। যে-সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, সেগুলি নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে শ্রমদপ্তরের নজরে আসে এই অ্যাকাউন্টগুলি ভুয়ো। কেউই আসল উপভোক্তা নন। বিভিন্ন ব্যক্তির নাম দিয়ে জাল তালিকা তৈরি করেছেন ওই অফিসারই! 

এরপর তাঁদের নামে নথি তৈরি করে সেগুলি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁদের নামে খোলা হয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি। সেখানেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। টানা পাঁচবছর ধরে এই জালিয়াতি ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতে শ্রমদপ্তরের তরফে গতবছর রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। ওইসঙ্গে ইনসপেক্টর তপনকুমার ঘোষকে কলকাতায় বদলি করা হয়। 

শ্রমদপ্তর সূত্রের খবর, তাঁকে একাধিকবার জেরা করে পুলিস। এমনকী দুর্নীতি দমন শাখাও তাঁকে জেরা করেছে। কিন্তু তিনি কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি, উল্টে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, যে-সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে সেগুলি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরেই ওই অফিসারের কাছে পৌঁছেছে।

No comments