২৪ তম বর্ষে হলদিয়া বন্দর মঙ্গল সমিতির পুজো
হলদিয়া বন্দর পল্লিমঙ্গল সমিতির পুজো এবার ২৪তম বর্ষে পড়েছে। শিল্পশহরের বিগবাজেটের জাঁকজমকের পুজোর মধ্যে সাবেকি ঘরানার ঘরোয়া পরিবেশের পুজোই এদের বৈশিষ্ট্য। বন্দরের ৯-এর পল্লির আবাসিকরা…
২৪ তম বর্ষে হলদিয়া বন্দর মঙ্গল সমিতির পুজো
হলদিয়া বন্দর পল্লিমঙ্গল সমিতির পুজো এবার ২৪তম বর্ষে পড়েছে। শিল্পশহরের বিগবাজেটের জাঁকজমকের পুজোর মধ্যে সাবেকি ঘরানার ঘরোয়া পরিবেশের পুজোই এদের বৈশিষ্ট্য। বন্দরের ৯-এর পল্লির আবাসিকরাই এই পুজোর আয়োজক। আবাসিকদের কাছে পল্লিমঙ্গলের পুজো বাড়ির পুজোর আমেজ এনে দেয়। বুধবার ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পুজোর উদ্বোধন করবেন হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসক) প্রবীণকুমার দাস। ষষ্ঠীতে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে। পুজোর থিম স্বস্তিক, শুভ শক্তির বিকাশের বার্তা দিতে এই থিম ভাবনা। মণ্ডপটি ছোট হলেও সাজানো। মণ্ডপ শিল্পী সৌমেন প্রামাণিক বলেন, বাঁকুড়ার দুই শতাধিক পোড়ামাটির ঘোড়া, শতাধিক মাটির পুতুল, প্রদীপ সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলেন, এবছর পুজোর বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। ষষ্ঠীর দিন বিকেলে আবাসন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হবে। আবাসন এলাকায় নারকেল গাছ লাগানো ও বিতরণ করা হবে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় পল্লির আবাসিকদের ছেলেদের সঙ্গীত এবং নৃত্যানুষ্ঠান রয়েছে। অষ্টমীতে ধুনুচি নাচ এবং বিজয়ার দিন সিঁদুর খেলায় মাতবেন আবাসনের মহিলারা। অষ্টমীর দিন জনসাধারণের জন্য খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, এই পুজোর জন্য বন্দরের জেনারেল ম্যানেজারের উদ্যোগে গত বছর স্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন ভুঁইয়া ও রবীন্দ্রনাথ ফাদিকার বলেন, শোভাযাত্রা সহকারে হলদি নদী থেকে নবপত্রিকা স্নান করিয়ে আনা হবে। দশমীর দিন নদীতে বিসর্জন খুবই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আবাসনের বাসিন্দা শাশ্বতী ভুঁইয়া, মঞ্জুশ্রী পড়িয়া, সোনালি ফাদিকার, স্মৃতিকণা হালদার, টিঙ্কু শেঠ বলেন, পুজোর ভোগ আমরা নিজেরাই তৈরি করি। পুজোর কয়েকটা দিন মণ্ডপে আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে ভীষণ আনন্দে কাটে। এখানে প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী নুর মহম্মদ। তাঁর সাবেকি প্রতিমা নজর কেড়েছে সকলের।
No comments