Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাংলায় শিক্ষক দিবস পালনে দাবি নিয়ে মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে ২০৫ তম বিদ্যাসাগরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন

বাংলায় শিক্ষক দিবস পালনে দাবি নিয়ে মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে ২০৫ তম বিদ্যাসাগরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনবীর সিংহের সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর তারি ২০৫ তম জন্মদিন উদযাপন ও বিদ্যাসাগর শিক্ষক সম্মাননা প্রদান মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা…

 




বাংলায় শিক্ষক দিবস পালনে দাবি নিয়ে মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে ২০৫ তম বিদ্যাসাগরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন

বীর সিংহের সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর তারি ২০৫ তম জন্মদিন উদযাপন ও বিদ্যাসাগর শিক্ষক সম্মাননা প্রদান মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির কলিকাতা আয়োজনে মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা  দাসপুর ঘাটাল আঞ্চলিক শাখা ব্যবস্থাপনা দাসপুর মিলন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মাননা অনুষ্ঠানের পূর্বে বিদ্যাসাগরের স্মরণে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় শোভা যাত্রা থেকে দাবি উঠে বর্ণপরিচয় কে প্রাথমিক স্তরে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে । বাংলার বাঙালি হৃদয়ে বর্ণপরিচয়ের ষষ্ঠা বিদ্যাসাগর তার জন্মদিনে বাংলা শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা।২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১; ১২ আশ্বিন ১২২৭ – ১৩ শ্রাবণ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ) ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ছিলেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর  উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও   বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে।দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনোই তার দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসঙ্কটের সময়ও তিনি ঋণ দিয়ে পরোপকার করেছেন‌। তার পিতামাতার প্রতি তার ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মোদ্যম ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি।

বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুরে তার স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলিকাতা আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তারই নামে উৎসর্গিত। ]


No comments