Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট বাড়ি থেকে পালানো ১১০৩ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট বাড়ি থেকে পালানো ১১০৩ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট বাড়ি থেকে পালানো ১১০৩ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ৬২০। শুক্রবার পূর্ব মেদিন…

 



পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট বাড়ি থেকে পালানো ১১০৩ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস

২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট বাড়ি থেকে পালানো ১১০৩ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ৬২০। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর ডিএম অফিসে শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের উপস্থিতিতে এবিষয়ে একটি কর্মশালা হয়। সেখানে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন জীবানন্দ দাস, সিএমওএইচ বিভাস রায়, জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তরের অফিসার সুদীপ্ত বিশ্বাস, শিশুসুরক্ষা কমিশনের দুই উপদেষ্টা সুদেষ্ণা রায় ও অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে ছিলেন। প্রতিটি থানার সেকেন্ড অফিসার, সিডিপিও, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এছাড়াও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিকা ও কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা ছিল।

এদিনের আলোচনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপকহারে নাবালিকা পালানো এবং বিয়ের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বেশ কয়েকটি থানা এক্ষেত্রে রেড জোনে অবস্থান করছে। ভূপতিনগর, ময়না এবং এগরা প্রভৃতি থানা এলাকা থেকে নাবালিকা পালানোর সংখ্যা অত্যধিক বেশি। ভূপতিনগরে এক মাসে ১৬ জন নাবালিকা উদ্ধার হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে করার পর অনেক নাবালিকা ঘরসংসারও করছে। তাদের মধ্যে কিশোরী অবস্থায় গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা ঘটছে। শিক্ষায় এগিয়ে থাকা এই জেলায় নাবালিকা পালানোর ঘটনা শুধু রাজ্য নয়, দেশের মধ্যে সর্বাধিক। ভূপতিনগর এবং এগরার নাবালিকাদের অনেকে ওড়িশার যুবকের প্রেমে মজে ঘর ছাড়ে। তাতে উদ্ধার করতেও সমস্যা হয়।

নাবালিকা উদ্ধারের পর অনেক সময় পুলিসকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এদিন সেই বিষয়টিও উত্থাপন করেন ভূপতিনগর থানার অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, উদ্ধারের পর নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্টের জন্য ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ নই’। মহকুমা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শনি ও রবিবার কোর্টে উদ্ধার হওয়া নাবালিকার জবানবন্দি নেওয়া হয় না। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দির জন্য কোর্টে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। আদালত থেকে নাবালিকাকে হোমে রাখার নির্দেশ হলে সবার আগে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সনকে ফোন করে জানানো বাধ্যতামূলক। এরআগে তিন জেলা মিলিয়ে একজন সিডব্লুসি চেয়ারপার্সন ছিলেন। তাঁকে ফোনেই পাওয়া যেত না। এই জেলার হোমগুলি মূল সড়ক থেকে অনেকটা ভিতরে। সারাদিনের ধকল পেরিয়ে নাবালিকাকে হোমে নিয়ে যেতে রাত হলে হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন,  রাত ৮টার পর হোমে নেওয়ার নিয়ম নেই। তদন্তকারী অফিসারদের এধরনের বিবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।এদিন তমলুকের সিএমওএইচ বলেন, কোনও সরকারি হাসপাতালে যাতে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট নিয়ে হয়রানি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে অর্ডার করব। পূর্ব মেদিনীপুরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, ২০২৩ সালে ১১০৩ জন ও ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ৬২০ জন নাবালিকা উদ্ধার করে কাউন্সেলিং করা হয়েছে।

No comments