স্কুলবাস,পুলকার নিয়ে হলদিয়ায় কড়া প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন - প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/2ltX0po3J1wশিল্প এলাকায় বাচ্চা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন স…
স্কুলবাস,পুলকার নিয়ে হলদিয়ায় কড়া প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন - প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/2ltX0po3J1w
শিল্প এলাকায় বাচ্চা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।হলদিয়া পুলকারও স্কুল বাস নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ সীমাহীন।সরকারি ও বেসরকারি একাধিক স্কুলেই রয়েছে এমন স্কুল বাস সার্ভিস।শিল্পশহর হলদিয়ার ২৬টি স্কুলে পরিসেবার হাল কি তা খতিয়ে দেখতে কি পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখতে মহকুমা পুলিস ও ট্রাফিক পুলিসের উদ্যোগে একটি অভিযান চালানো হয়।এদিন হলদিয়ায় ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিক রানা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,হলদিয়া শিল্প শহরের গত ১লা জুলাই থেকে আমরা বিভিন্ন স্কুলে যাচ্ছি।স্কুলপরিচালন কমিটি ও বাস চালকদের সাথে কথা বলছি।সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পড়ুয়াদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।মহকুমাপুলিসের সুত্র অনুযায়ী,বাস বা পুলকারের যাবতীয় তথ্য স্কুলের কাছে রাখতে হবে।স্কুলবাস নিয়মিত সার্ভিস করাতে হবে।স্কুলপড়ুয়া্দের বাসে জিপিএস সিস্টেম কার্যকর করতে হবে।চালকদের শারীরিক পরীক্ষাও ফিটনেসের দিকেও সজাগ থাকতে হবে স্কুলকে।চালকদের সিটবেল্ট পরেই গাড়ি চালাতেহবে।বলা হয়েছে যে রুটে গাড়িচলে সেইরুটেই গাড়িনিয়ে যেতেহবে।চণ্ডীপুরের মগরাজপুরের বাসিন্দা এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানান,আমার ছেলে হলদিয়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে।অনেক সময় পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি থাকায় বাসে বসার জায়গা পায়না।নতুন আইনে স্কুল বসার জায়গা দেবে জেনে ভাল লাগছে।হলদিয়ার সুতাহাটার বাসিন্দা রাকেশ জানান,স্কুলবাস কোন কারনে দেরি হলে কোন তথ্য পাওয়া যায়না।জিপিএস থাকে সহজে বোঝা যাবে বাসের গতিবিধি কোথায় রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, হলদিয়ার বেশ কিছু বাসে জিপিএস ব্যবস্থা থাকায় সহজে বাসের গতিবিধি নজরে আনা যায়।হলদিয়া টাউনশিপের একাধিক স্কুল পরিচালন কমিটি পুলিসের কাছে স্কুলের সময়ে ট্রাফিক পুলিস মোতায়েনের দাবি করেছেন।বিশেষ করে হলদিয়া মাখনবাবুরবাজার ও সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একাধিক স্কুল থাকে।সেই সময় বিভিন্ন শিল্পসংস্থার কর্মীদের গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকে।মূলত;সকাল আটটার দিকেই সিভিক দিয়েও যান নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়েছে।
হলদিয়া বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়িতা চক্রবর্তী হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে জানান। জেলা পুলিশ এবং ট্রাফিক প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছেন খুবই প্রশংসনীয়। ট্রাফিক আইন যদি সকলেই মেনে চলে তাহলে শিল্প এলাকা যে বাচ্চা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বারে বারে উঠে আসছে সে থেকে কমানো যাবে তার সাথে দুর্ঘটনারানো এড়ানো যাবে। তবে তিনি বলেন বাসের জিপিএস এর সাথে সাথে স্কুল বাস বাদ দিয়ে যে প্রাইভেটে যে সকল অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠায় তাদের সেই গাড়িগুলি অভিভাবকদের নজর দেওয়া উচিত। যাতে বেশি পরিমাণে ছাত্রছাত্রী ওই সকল টোটো অটোতে না পাঠায় । গাড়ির ক্ষমতা অনুযায়ী যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ওই গাড়িতে তোলা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য বলেন। তিনি আরো বলেন পুলিশ প্রশাসন এবং ট্রাফিকের সামনে থেকেই অনেক গাড়িতে ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে টোটো এবং অটোরিক্সা করে নিয়ে আসে সেদিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।তিনি আরও বলেন , সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের কাছে কয়েক হাজার পড়ুয়া যাতায়াত করে । সিভিক থাকা খুব জরুরী ।
No comments