Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আওয়ামি লিগের অবদান অনস্বীকার্য’, বাংলাদেশে ফিরুন হাসিনা, উল্টো সুর অন্তর্বর্তী সরকারেই

‘আওয়ামি লিগের অবদান অনস্বীকার্য’,  বাংলাদেশে ফিরুন হাসিনা,  উল্টো সুর অন্তর্বর্তী সরকারেই 
 ভোলবদল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের! এতদিন যে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগ ছিল ‘দেশের শত্রু’, সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই এখন স্বাগত নতুন …

 



‘আওয়ামি লিগের অবদান অনস্বীকার্য’,  বাংলাদেশে ফিরুন হাসিনা,  উল্টো সুর অন্তর্বর্তী সরকারেই 


 ভোলবদল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের! এতদিন যে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগ ছিল ‘দেশের শত্রু’, সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই এখন স্বাগত নতুন রাষ্ট্রে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামি লিগ এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের অবদান হঠাৎই স্মরণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেনের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আহ্বান, ‘শেখ হাসিনা, আপনি ফিরে আসুন। এটা আপনার দেশ। আপনি আসছেন না কেন? নাগরিকত্ব তো যায়নি! স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছেন, স্বেচ্ছায় ফিরে আসুন, পার্টি গোছান, নির্বাচনে অংশ নিন, একটা রাজনৈতিক দল যা করে। এই পার্টির (আওয়ামি লিগ) অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। ভালো থাকবেন, আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি।’ কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামি লিগ বিরোধী বাতাবরণের মাঝে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এহেন ভোলবদল কেন? এই প্রশ্নে এখন তোলপাড় সীমান্তের দু’পারই। 

তবে বাংলাদেশের রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরে আসার এই আহ্বানের সঙ্গেই প্রাক্তন সেনাকর্তার হুঁশিয়ারি—‘পার্টি গোছান, লোক জড়ো করেন, যাই করেন না কেন, কাউন্টার রেভল্যুশনের (প্রতিবিপ্লব) মতো এমন কিছু করবেন না, যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবেন না। পাকিয়ে কোনও লাভও হবে না। বরং মানুষ আবার খেপে উঠবে।’ আওয়ামি লিগ সভানেত্রীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পরামর্শ—‘ব্যক্তিগত স্বার্থে এত বড় একটা দলকে নষ্ট করবেন না। আওয়ামি লিগের প্রতি আমি ব্যক্তিগত ভাবে শ্রদ্ধাশীল। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’এর গণআন্দোলন এবং ৭১’এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক অবদান আছে এই দলের। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এটা। তাঁর নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা এসেছে। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। এই দল নষ্ট করার কোনও অধিকার আপনার নেই।’

যদিও এই উল্টো সুর প্রকাশ্যে আসা মাত্র বিরোধিতায় তৎপর হয়ে উঠেছে জামাত শিবিরের লোকজন। সমাজমাধ্যমে ‘গালমন্দ’ শুরু হয়েছে প্রাক্তন সেনাকর্তার নামে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিরোধী এই প্রচারে সবচেয়ে সক্রিয় প্যারিসে নির্বাসিত আইএসআইপন্থী পিনাকী ভট্টাচার্য। শাখাওয়াত হোসেনের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতেই তাঁকে দালাল অ্যাখ্যা দিয়ে পিনাকীর পোস্ট—‘দেখছেন তো, আমি মানুষ চিনতে ভুল করি না।’ এরপর বিকেলে ফের সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্ট—‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শাখাওয়াতকে হটান। এই মুহূর্তে সে নিজেই প্রতিবিপ্লবী।’ এই পর্বেই চরম ভারত বিদ্বেষী বলে পরিচিত পিনাকীর একের পর এক ভিডিও পোস্ট নিয়ে বিব্রত বাংলাদেশ সরকার ‘ইউটিউব’ কর্তৃপক্ষকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায়। বাংলাদেশ সরকারের টেলি কমিউনিকেশন রেগুলেটারি কমিশনের আর্জির ভিত্তিতে এদিনই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ‘ব্লক’ করে দেয় পিনাকীকে। তাঁকে বলা হয়, ‘যে সমস্ত পোস্ট রয়েছে, মুছে ফেলুন, অন্যথায় ডিলিট করে দেওয়া হবে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন পর্বে বাংলাদেশের উপদেষ্টারা ভারত বিরোধিতার যে পর্যায়ে ছিলেন, তা থেকে তাঁরা ক্রমেই সরে আসছেন। তার প্রমাণ মিলেছে তাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হাসনের কথাতেও। এদিন তৌহিদ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, ‘হাসিনা ভারতে থাকলেও, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক বড় বিষয়, এটি স্বার্থের সম্পর্ক। বন্ধুত্বও স্বার্থের জন্য। স্বার্থ বিঘ্নিত হলে বন্ধুত্ব টেকে না। ভারতের স্বার্থ আছে, বাংলাদেশেরও রয়েছে।’ তৌহিদের কথায়, ‘আমরা দু’পক্ষই স্বার্থ বজায় রাখব, চেষ্টা করব সুসম্পর্ক বজায় রাখার।’

No comments