Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শিল্প শহরের আম কাঁঠালের বাগান ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক

শিল্প শহরের আম কাঁঠালের বাগান ঘুরে দেখলেন জেলাশাসকহলদিয়া পৌরসভায় সারপ্রাইজ ভিজিটে এসেছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী দীর্ঘ সময় হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখলেন ওয়ার্ড অফিস সহ হলদিয়া শিল্প শহরে হাসপাতাল পরিদর্শন ও জান তিনি…

 




 শিল্প শহরের আম কাঁঠালের বাগান ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক

হলদিয়া পৌরসভায় সারপ্রাইজ ভিজিটে এসেছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী দীর্ঘ সময় হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখলেন ওয়ার্ড অফিস সহ হলদিয়া শিল্প শহরে হাসপাতাল পরিদর্শন ও জান তিনি। কিছু সময় কাটালেন হলদিয়া হলদি নদী তীরে হলদিয়া ভবনের সামনে। পরে হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে সিটি সেন্টারে গড়ে উঠছে আম ও কাঠালের বাগান তাই সেই বাগানে থাকবে কফি হাউস কিছুটা সময় কাটানো ও বিনোদনের জায়গা। সেই জায়গা ঘুরে দেখলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী।

হলদিয়া মহাকুমার শাসক তথা হলদিয়া পৌরসভার পৌর প্রশাসক বলেন। দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত শহর গড়তে অভিনব দু›টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছেহলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষ। 

প্রসঙ্গত, ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) চার্জিং স্টেশন এবং ফলের বাগিচা। প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচে রাজ্যের মডেল প্রকল্প হিসেবে এটি তৈরির উদ্যোগ হয়েছে। দূষণ কমানো বা দখল ঠেকানো নয়, দুই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান এবং পর্যটন। শহরের টোটো সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ি ও বাইকের জন্য সিটি সেন্টারে ইভি চার্জিং স্টেশন তৈরি করছে হলদিয়া পুরসভা। বৈদ্যুতিক বাসও চার্জ করার সুযোগ থাকবে ওই চার্জিং স্টেশনে। কলকাতার বাইরে কোনও পুরসভার উদ্যোগে এই প্রথম ইভি চার্জিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে বলে দাবি হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষের। এজন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ইভি চার্জিং স্টেশনের পাশেই পতিত জমিকে দখলমুক্ত করার পাশাপাশি সবুজায়ন করতে তৈরি হচ্ছে আম কাঁঠালের বাগান। এজন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনক্যাপ) কর্মসূচির অর্থে ওই প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়িত হবে।

হলদিয়ার প্রশাসনের কাছে দূষণ ও জবরদখল ঠেকানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। গত দু›দশকে শহরে বায়ুদূষণ মাত্রাছাড়া হয়েছে। ২০১০ সালে দূষণের কারণে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের উপর কেন্দ্রের পরিবেশগত মরিটরিয়াম বা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছিল যে, নতুন শিল্প স্থাপনের ছাড়পত্র মেলেনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত। পরে শর্ত সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি বলে পরিবেশকর্মীদের দাবি। শহরে বায়ুদূষণে নিয়মিত নজরদারির জন্য ডিজিটাল পলিউশন ডিসপ্লে বোর্ড লাগিয়েছে পুরসভা। হলদিয়ায় সবচেয়ে বেশি দূষিত এলাকা হল রানিচক, সিটি সেন্টার, দুর্গাচক, চিরঞ্জীবপুর। শুধু দূষণ নয়, সবচেয়ে বেশি জবরদখলও ওই এলাকাগুলিতেই। বন্দর, পুরসভা ও হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শতাধিক একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে ওই এলাকাগুলিতে। সিটি সেন্টার এলাকায় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ জমি জবরদখল করে গত কয়েক বছরে বহিরাগতদের বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতে ওই কাজ হচ্ছে বলে রাজ্যের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছে।

হলদিয়ার দূষণ ও পতিত জমি জবরদখলের পরিস্থিতি বদলাতে এনক্যাপ ফান্ডের অনুমোদন বাড়িয়েছে রাজ্যের পুরদপ্তর। এই ফান্ড কাজে লাগিয়ে শহরে দূষণ ঠেকাতে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর প্রশাসক তথা এসডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোরকদমে চলছে এই কাজ। পুর প্রশাসক বলেন, হলদিয়া পুরসভার উদ্যোগে যে ইভি চার্জিং স্টেশন হবে তা রাজ্যের মডেল করে তুলতে চাইছি। এখানে দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জিংয়ের সুবিধে থাকবে। ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫০ মিটার প্রস্থের একটি আধুনিকমানের ইভি চার্জিং স্টেশন হবে। এর ঠিক পাশেই পুরসভার পড়ে থাকা ২ একর জমিতে আম কাঁঠালের বাগান তৈরি করছি। বিভিন্ন জাতের আড়াই হাজার আম ও ৫০০ কাঁঠাল সব মিলিয়ে তিন হাজার গাছের বাগান তৈরি হচ্ছে। এর চারপাশে পারিখা থাকবে যাতে কেউ গাছ নষ্ট না করে। বাগিচার মাঝখানে রেস্টুরেন্ট থাকবে। সিটি সেন্টার এলাকায় শহরের সমস্ত অফিস, স্কুল, নলেজ সিটি, হোটেল, আবাসন রয়েছে। দূষণের মাত্রাও খুব বেশি পাশে কারখানা থাকায়। তাই কয়েক হাজার দেশি গাছের বাগান গড়ে গ্রিন শেল্টার বেল্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পুর প্রশাসক।







No comments