জেলা পরিষদের জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস তৈরি হওয়ার কথা সেখানেই গড়ে উঠেছে ইমারতী ব্যবসার জন্য অট্টালিকাভিডিও দেখতে ক্লিক করুন https://youtu.be/wR2H5d4pGLs
জেলা পরিষদের জায়গায় গড়ে উঠেছে বালি,সিমেন্ট ব্যব…
জেলা পরিষদের জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস তৈরি হওয়ার কথা সেখানেই গড়ে উঠেছে ইমারতী ব্যবসার জন্য অট্টালিকা
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/wR2H5d4pGLs
জেলা পরিষদের জায়গায় গড়ে উঠেছে বালি,সিমেন্ট ব্যবসার দোকান । ব্রজলালচক থেকে চৈতন্যপুর রাস্তা বিধান স্মৃতি পাঠাগার সংলগ্ন হলদিয়া ব্লকের কুমারপুর মৌজায় ২৮৮৫ দাগে এই বেআইনি ব্যবসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা । সরকারি জায়গা দখল করে কি করে একজন ব্যক্তি দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তারা । হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী বিজেপি শিবিরের সদস্য চন্দন কুমার সামন্ত বেআইনি দখলদার মুক্ত করে জায়গাটিকে সরকারি কাজে ব্যবহারের দাবিও জানিয়েছেন । যদিও শাসক তৃণমূল শিবির আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ।
হলদিয়া ব্লকের কুমারপুর মৌজায় ২৮৮৫ দাগে রয়েছে ১৮ ডেসিমল জায়গা । জায়গাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মালিকানায় রয়েছে । ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতি ওই সরকারি জায়গায় সরকারি অফিস হিসেবে ব্লক প্রাণী সম্পদ অফিস গড়বার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । কিন্তু কোন কারনে সেটি বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি । সম্প্রতি সে জায়গায় স্থানীয় ঠিকাদার গুরুপদ ভূঁইয়া দোতলা পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন । সেখানে দেদার চলছে বালি সিমেন্টের ব্যবসা । স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় খুঁটিয়া, বাবুলাল বাগ, রাজীব জানা, সমীর মান্নাদের দাবি জেলা পরিষদের জায়গা জেনেও একজন ঠিকাদার কি করে বেআইনি নির্মাণ করতে পারেন । এটা কোনভাবেই তারা মেনে নিতে পারছেন না । হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা, তথা স্থানীয় বিজেপি নেতা চন্দন কুমার সামন্ত জানিয়েছেন,"স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যেই ওই ঠিকাদার সরকারি জায়গায় বাড়ি তৈরি করে ব্যবসা পেতে বসতে সাহস পেয়েছেন । এই দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া দরকার ।" ওই ঠিকাদার ব্যবসায়ী গুরুপদ ভূঁইয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরতে চাননি ।
হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ মাজী হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে মুখোমুখি হয়ে বললেন কুমারপুর এলাকার মানুষের একটা দরখাস্ত এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে একজন দরখাস্ত দিয়েছেন ২৮৮৫ দাগে জেলা পরিষদের জায়গা ব্যক্তিগত বহুতল বিল্ডিং হয়েছে সে নিয়ে ভূমি দপ্তরকে আমরা তদন্তের জন্য নির্দেশ পাঠিয়েছি।
চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোসলেম আলী খান তিনি বলেন আমার জানা ছিল না আগে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস করার জন্য কোন বোর্ড লাগানো হয়েছিল কিনা? তবে জেলা পরিষদের কাছ থেকে উনি জায়গা লিজে নিয়েছেন। তবে তিনি স্বীকার করলেন "জেলা পরিষদের জায়গায় ছাদ ঢালা বহুতল বিল্ডিং করা যায় না"। তবে তিনি আরো বললেন জেলা পরিষদের জায়গা হলদিয়া ব্রজলাল বাজার এলাকায় ওই ধরনের বহু বাড়ি রয়েছে।
এ বিষয়ে হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্রীকান্ত মাইতি জানিয়েছেন,"আমরা জেনেছি ওখানে জমি নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে । আমরা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি পদক্ষেপ করতে পারব ।" পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের এই জায়গা কোনভাবে জবরদখল করা যাবে না । বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলে । তিনি বলেন,"আমরা জানলাম জেলা পরিষদের জায়গায় বেআইনি নির্মাণ কাজ হয়েছে । আমরা প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করে তা দখল মুক্ত করব । সরকারি কোনো জায়গায় এমন জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না ।"
No comments