হলদিয়া ল কলেজের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা চেয়ে পরীক্ষা বয়কট দিনভর কলেজ কেটে বিক্ষোভ
সোমবার ২২ জুলাই গণ্ডগোলের জেরে বাতিল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষা। মঙ্গলবার ২৩ জুলাই দ্বিতীয় দিনে নিরাপত্তার দাবি তুলে পরীক্ষা বয়কট করলেন হল…
হলদিয়া ল কলেজের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা চেয়ে পরীক্ষা বয়কট দিনভর কলেজ কেটে বিক্ষোভ
সোমবার ২২ জুলাই গণ্ডগোলের জেরে বাতিল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষা। মঙ্গলবার ২৩ জুলাই দ্বিতীয় দিনে নিরাপত্তার দাবি তুলে পরীক্ষা বয়কট করলেন হলদিয়া ল কলেজের সিংহভাগ পড়ুয়া। মাত্র ১৬ জন ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় দিন মহিষাদল রাজ কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন। ল কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৭৬। প্রথমার্ধের পরীক্ষার্থী ২৯৬ জন এবং দ্বিতীয়ার্ধে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৮০। প্রথমার্ধে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে দু’জন এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন। একজন ছাত্রী পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত দেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয়ার্ধে পরীক্ষা দেন মাত্র ১৩ জন।
সোমবার মহিষাদল রাজ কলেজে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরীক্ষা ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটে। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা ও তৃণমূল ছাত্র ইউনিয়নের টাকা চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ব্যাপক গণ্ডগোলের জেরে শেষমেশ বাতিল হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। সকাল থেকেই মহিষাদল রাজ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র কড়া পুলিসি পাহারায় মুড়ে ফেলা হয়। এদিকে পরীক্ষা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে দুই ছাত্রের কথপোকথনের একটি ভয়েস কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে আরও ভয় পান পড়ুয়ারা। কলেজের একদল ছাত্র পরীক্ষা বয়কটের ডাক দেন বলে অভিযোগ। অভিভাবকরা আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এদিকে ল কলেজের প্রিন্সিপালকে সকাল থেকে ঘেরাও করে মহিষাদল রাজ কলেজ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র সরানোর দাবি ওঠে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ঘেরাও হয়ে থাকেন। প্রশাসন ও পুলিসের আধিকারিকরা পরীক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। সন্ধ্যা নাগাদ হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারীর নেতৃত্বে প্রিন্সিপাল ঘেরাওমুক্ত হন। সূত্রের খবর পরীক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যাবেন।
এদিকে, মহিষাদল রাজ কলেজের সেন্টার ইনচার্জ তথা প্রিন্সিপাল গৌতম মাইতি বলেন, ল কলেজের আইনের পরীক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
No comments