চাকরির টোপ গিলে ৮ লক্ষ টাকা ও বউকে খোয়ালেন হলদিয়ার যুবকরেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি এক ব্যক্তির স্ত্রী'কেও ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক। এই অভিযোগে ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার ত…
চাকরির টোপ গিলে ৮ লক্ষ টাকা ও বউকে খোয়ালেন হলদিয়ার যুবক
রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি এক ব্যক্তির স্ত্রী'কেও ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক। এই অভিযোগে ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস আধিকারিকদের চোখ কপালে। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে টাকা ও স্ত্রী দুই 'সম্পদ' খুইয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত ওই ব্যক্তি। রেলে চাকরি দেওয়ার গল্প ফেঁদে প্রতারক ওই ব্যক্তির স্ত্রী'র সঙ্গে প্রথমে আলাপ জমায়। সেই আলাপ কখন প্রেম পর্যায়ে পৌঁছয়, তা ঠাওর করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। শেষমেস অপহরণের নাম করে ওই মহিলাকে নিয়ে পালায় প্রতারক-প্রেমিক। এই গল্পের জট খুলতে পুলিসের তদন্তকারী অফিসারদেরও কালঘাম ছুটছে। পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ভবানীপুরের দেভোগ এলাকার বাসিন্দা সৌমিত্র বেরা।
চাকরির প্রতিশ্রুতিতে প্রতারিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সৌমিত্রর দাবি, ছেলের সহপাঠীর বাবা তাঁর স্ত্রী 'কে শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করেন। অগ্রিম হিসেবে আড়াই লক্ষ চান। ২০১৮ সালের অক্টোবর ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেড় বছরে ৪ দফায় ওই টাকা সৌমিত্র দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
পুলিস জানিয়েছে, সৌমিত্র চাকরি না পেয়ে পরে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত পাননি। শেষে তাঁর ছেলের সহপাঠীর বাবা নতুন এক প্রস্তান নিয়ে হাজির হন। তিনি সৌমিত্রকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের তিনজনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে তাঁদের নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। এদের মধ্যে একজন রেলের বড় আধিকারিক পরিচয় দেন নিজেকে। এরপর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সৌমিত্রর স্ত্রী'র সঙ্গে আলাপ জমান। ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাসকরে অনলাইনে ৬ লক্ষ টাকা দেন বলে সৌমিত্র দাবি করেছেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে দফায় দফায় ওই টাকা পেমেন্ট করেন। সৌমিত্রর অভিযোগ, রেলের আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি চাকরিও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। উল্টে টাকা ফেরত চাইতেই স্ত্রী ও পুত্র'কে অপহরণের হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই হলদিয়ার সিটিসেন্টার শপিংমলের কাছ থেকে স্ত্রীকে অপহরণ করে বলে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভবানীপুর থানার ওসি ইমরান মোল্লা বলেন, অপহরণের একটি অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস দেখেছে, রেলের আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে মহিলা স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছে। ওই মহিলা এখনও ফিরে আসেননি বলে জানা গিয়েছে। সৌমিত্রবাবুকে সমস্ত নথি নিয়ে পুলিস দেখা করতে বলেছে। তদন্তে নেবেছেন ভবানীপুর থানার পুলিশ।
No comments