Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পিছিয়ে পড়া প্রজন্ম কে শিক্ষার আঙিনায় আনতে ! দুই দশক ধরে সেই কাজ করে চলেছেন ড. অর্ণিবান দাস

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/xDepbCpXgI4
পিছিয়ে পড়া প্রজন্ম কে শিক্ষার আঙিনায় আনতে ! দুই দশক ধরে সেই কাজ করে চলেছেন ড. অর্ণিবান দাস 
ঝাড়গ্রাম জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত  জঙ্গলমহলের গ্রামগুলিতে ( বড়ামারা ,ঝাউড়িশোল,  জরীঘাটি , …

 


ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/xDepbCpXgI4


পিছিয়ে পড়া প্রজন্ম কে শিক্ষার আঙিনায় আনতে ! দুই দশক ধরে সেই কাজ করে চলেছেন ড. অর্ণিবান দাস 


ঝাড়গ্রাম জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত  জঙ্গলমহলের গ্রামগুলিতে ( বড়ামারা ,ঝাউড়িশোল,  জরীঘাটি , চাঁদধুয়া , জাম্বনী, ভালুকচুয়া ) ড. অনির্বাণ দাস এসেছিলেন প্রায় ৩০০ জন  শিশু /কিশোরদের  রোবোটিক্স  এর  পাঠ দিতে।


একদম বেসিক ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে  ইন্টারনেট অফ থিংস এর ছোট ছোট এপ্লিকেশন হ্যান্ডস অন বানিয়ে দেখান , যাতে তাদের মধ্যে ইন্টারেস্ট জন্মায় এবং এই কাজ গুলোর মাধ্যমে তাদের মধ্যে  ইনোভেশনের বীজ বপন হয় | এক অদ্ভুত জীবনীশক্তি রয়েছে এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আদিবাসী অধ্যুষিত  গ্রামের  ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে তিনি বলেন| স্বামী বিবেকানন্দের কথায় "..... এরা এক মুঠো ছাতু খেয়ে দুনিয়া উলটে দিতে পারবে ; আধখানা রুটি পেলে ত্ৰৈলোক্যে এদের তেজ ধরবে না ;....." 

 ভারতবর্ষ আজ সামগ্রিকভাবে সারা বিশ্বের দরবারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন মহাকাশ  থেকে ডিফেন্স সেক্টরে , নিজেদের সেরার সেরা প্রমান করেচলেছে | ভারতের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমরা সঠিকভাবে পেতে পারি তখনই , যখন আমাদের ভবিষ্যত নাগরিকদের যথাযত শিক্ষিত ও স্কীলড করে তুলতে পারবো | তার জন্য প্রথমেই চাই গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও বাড়ানো | এমনিতে যা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অনেক কম ছিলোই , COVID-19  এর সময় যা আরও অনেক কমে গেছিলো সেই সাথে ড্রপআউট উল্লেখজনক ভাবে বেড়ে যায় |২০১৯ এর   AISHE এর রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা এর গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও হলো ১৮.৭% যেখানে জাতীয় হার হলো ২৫.৮%।  

তাই যতটা সম্ভব এই তথাকথিত পিছিয়ে পড়া প্রজন্ম কে শিক্ষার আঙিনায় আনতে হবে। দুই দশক ধরে সেই অঙ্গীকার কে সাকার করে চলেছেন ড. অর্নিবান দাস  ।  মূলত: জঙ্গলমহল পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , পূর্ব ও অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর এর সুবর্ণরেখা নদীর দুই পারের গ্রামগুলো , হাওড়া , বর্ধমান, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার , কুচবিহার জুড়ে বিভিন্ন সময় , আর্থিক ও মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ভরসা ও বিশ্বাস এর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি , যাতে তারা শিক্ষার মূল স্রোতে শামিল হতে পারে এবং দেশের "ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড " এর অংশ হতে পারে।  বহু পরিবার আজ তাদের ছেলেমেয়েদের "শিশু শ্রমিক" হতে পাঠায় না  বরং তারা আজ জানে একমাত্র শিক্ষার আলো ই তাদের উত্তরসূরিদের উত্তরণ ঘটাতে পারে। ডঃ দাস কে ২০০৮  সালে তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানান ও গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে তাঁর কাজের প্রশংসা করেন।

No comments