Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ায় বন্দরে, যত বেশি পণ্য তত ছাড়ের সুজোগ

হলদিয়ায় বন্দরে, যত বেশি পণ্য তত ছাড়ের সুজোগচৈত্র সেলের ছাড়ের মতো এবার 'রিবেট স্কিম' চালু করছে হলদিয়া বন্দর। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য শুরু হচ্ছে আকর্ষণীয় স্কিম। বন্দরে বেশি পণ্য আনলেই বেশি ছাড়। সে…

 


হলদিয়ায় বন্দরে, যত বেশি পণ্য তত ছাড়ের সুজোগ

চৈত্র সেলের ছাড়ের মতো এবার 'রিবেট স্কিম' চালু করছে হলদিয়া বন্দর। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য শুরু হচ্ছে আকর্ষণীয় স্কিম। বন্দরে বেশি পণ্য আনলেই বেশি ছাড়। সেল-এর মতো সাময়িক ছাড় নয়, রিবেট স্কিম চলবে বছরভর। এমনই ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৩- ২৪ আর্থিক বছরে কলকাতা-হলদিয়া বন্দর ১৫৪ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড ৬৬.৪ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করেছে। এর মধ্যে হলদিয়া একাই ৪৯.৫ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে চলতি ২০২৪-২৫ সালে 'ভলিউম বেসড রিবেট স্কিম' চালু করছে। বন্দরের ইতিহাসে এ জিনিস আগে ঘটেনি। কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ ওর, আয়রন ওর, চুনাপাথর প্রভৃতি ড্রাই বাল্ক কার্গো যত বেশি পরিমাণে আসবে, ছাড় মিলবে তত বেশি। নয়া স্কিমে পণ্য পরিবহণে বন্দর ব্যবহারকারীদের প্রতি টনে ১০০ টাকা করে ছাড় দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমানো হচ্ছে কার্গো সম্পর্কিত এবংজাহাজ সংক্রান্ত চার্জ। পুরনোদের পাশাপাশি নতুন কাস্টমারদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের আশা, এর ফলে নতুন অনেকেই হলদিয়া বন্দরের প্রতি আকৃষ্ট হবে।

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের (কলকাতা- হলদিয়া বন্দর) রথেন্দ্র রমন বলেন, আমরা বন্দরের পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীর কাজেও দায়বদ্ধ। তাদের স্বাচ্ছন্দ বাড়াতেই নয়া উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর। এর ফলে রাজ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। এই সুযোগ নেওয়ার জন্য রাজ্য সহ পূর্ব ভারতের সরকারি বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। বন্দরের স্টেক হোল্ডার ব্যবহারকারীদের মিটিংয়ে ছিলেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা এবং কলকাতার ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি। তাঁরা বলেন, এর ফলে বন্দরের পশ্চাদভূমি এলাকায় যে সমস্ত শিল্প সংস্থা রয়েছে, তারা ছাড়ের জন্য হলদিয়াকেই বেছে নেবে। তবে বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপাকে পড়েই হঠাৎ বন্দর কর্তৃপক্ষ এধরনের রিবেটের পথে হাঁটছে। কারণ, চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই পণ্য পরিবহণ মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেই রিবেটের ঘোষণা বন্দর কর্তাদের। ইন্ডিয়ান পোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এপ্রিল ও মে মাসে বছরের শুরুতেই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে হলদিয়া কলকাতা বন্দর। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ দু' কোটি টন পণ্য পরিবহণ হলদিয়া ও কলকাতা মিলিতভাবে। এবছর ওই দু' মাসে ৮৭ লক্ষ টন পণ্য পরিবহণ হয়েছে। হলদিয়ায় পণ্য পরিবহণ খুবই কমে গিয়েছে। ১৫ শতাংশ পণ্য পরিবহণ কমে গিয়েছে গত বছরের তুলনায়। দেশের কোনও বন্দরে এত খারাপ অবস্থা হয়নি। হলদিয়া থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই রিবেট ঘোষণা বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে এই রিবেট কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে সংশয়ে বন্দর কর্তারাও। কারণ, এখনই কোনও সংস্থা বন্দরকে আশ্বাস দেয়নি। বরং তারা গত বছর যে পরিমাণ পণ্য এনেছিল, ততটা আনবে কি না সেই গ্যারান্টিও মেলেনি। এদিকে, বন্দরের আধিকারিকদের একাংশ এ ধরনের ছাড়ের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অডিটের সময় এনিয়ে সমস্যাও হতে পারে বলে আগাম সতর্কতাও দিয়েছেন।

No comments