জবরদখল সরাতে গেলে স্থানীয় বস্তিবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিস প্রশাসন
হলদিয়ার টাউনশিপে সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস সংলগ্ন বন্দরের জমি জবরদখলমুক্ত করার সময়ে উত্তেজনা ছড়াল। এদিন জবরদখল সরাতে গেলে স্থানীয় বস্তি…
জবরদখল সরাতে গেলে স্থানীয় বস্তিবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিস প্রশাসন
হলদিয়ার টাউনশিপে সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস সংলগ্ন বন্দরের জমি জবরদখলমুক্ত করার সময়ে উত্তেজনা ছড়াল। এদিন জবরদখল সরাতে গেলে স্থানীয় বস্তিবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিস প্রশাসন। বস্তিবাসীরা পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ বিজেপিকে জমি দিচ্ছে কিন্তু বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না দিয়ে বিনা নোটিসে উচ্ছেদ করছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে বন্দরের জমি থেকে জবরদখল সরানো হচ্ছে। জবরদখল সরানোর আগে নোটিস দেওয়া হয়েছে এবং দু›দিন ধরে মাইকিং করা হয়েছে ওই এলাকায়। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন ওই এলাকায় প্রায় ৪০টি পরিবার ঝুপড়িতে বসবাস করে। ওই জায়গাটি বন্দর বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করবে। এজন্য সম্প্রতি টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। জমি হস্তান্তরের আগে তাই দখলমুক্ত করতে নামা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে বন্দরের উচ্ছেদ ঘিরে টাউনশিপে টানটান উত্তেজনা ছিল। বস্তিবাসীদের বিক্ষোভের পর প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়। উচ্ছেদের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয় কয়েক ঘণ্টা। সকাল ১০টার পরিবর্তে দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখালেও বস্তিবাসীরা এদিন উচ্ছেদের আগেই নিজেদের গৃহস্থালির জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেন। তাঁরা বলেন, বন্দরের মাইকিং শুনেই দু›দিন আগে থেকেই জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছি। তবে বর্ষাকালে কোথায় যাব জানি না। বন্দরের কাছে পুনর্বাসন চেয়েছি। বিজেপি নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, আমরা গরিব বস্তিবাসীদের পাশে থাকলেও জবরদখল সমর্থন করি না। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন এলাকায় রয়েছেন তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। তবে তৃণমূল সুযোগ বুঝে মেকি আন্দোলনে নেমেছে। এদিন যে তৃণমূল নেতা বস্তিবাসীদের উসকে দিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছেন, হলদিয়ায় বহু জায়গায় সরকারি জমি জবরদখলে মদত দিয়েছেন তিনি, বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।
No comments