প্রচন্ড তাপপ্রবাহে জন্য মৃত্যুর মিছিল..কানপুর, বারানসী এবং এলাহবাদে গত ২৪ ঘণ্টায় গরমে ৯০ জনের মৃত্যু, শ্মশানে 'ওয়েটিং লিস্ট'এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে মঙ্গলবার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর প্রদেশের কানপুর, ব…
প্রচন্ড তাপপ্রবাহে জন্য মৃত্যুর মিছিল..
কানপুর, বারানসী এবং এলাহবাদে গত ২৪ ঘণ্টায় গরমে ৯০ জনের মৃত্যু, শ্মশানে 'ওয়েটিং লিস্ট'
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে মঙ্গলবার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর প্রদেশের কানপুর, বারাণসী এবং এলাহাবাদ শুধু এই তিন শহরেই ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বারাণসীতে পিকআপ ভ্যানের চালক গাড়িতে বসেই প্রচণ্ড গরমে প্রাণ হারান। চারটি ট্রাক থেকে চালক এবং খালাসিদের দেহ উদার হয়েছে একই দিনে। তাঁদেরও গরমেই মৃত্যু হয়েছে কলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উত্তর ভারতজুড়ে লু বইছে। দিল্লিতে তাপমাত্রা কিছুদিন আগে ৫৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। অন্যান্য অংশেও পঞ্চাশের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা। সঙ্গে বইছে গরম হাওয়া। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, প্রত্যেককেই। শুধু এলাহাবাদেই একদিনে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাস্তায় প্রিয়জনদের দেহ আঁকড়ে বসে রয়েছেন বহু শোকার্ত মানুষ। 'ওয়েটিং লিস্ট' হিসাবে নান ডাকা হচ্ছে, তবেই 'এন্ট্রি' মিলছে শ্মশানে ঢোকার। বহু মৃত্যুর হিসাব পাওয়া যায়নি। কোভিডের মতো একইভাবে গঙ্গাপাড়ে বহু দেহ পড়ে রয়েছে। কানপুরে একদিনে ২০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। বারাণসীতেও সংখ্যা একই। চিকিৎসক অনুমা শ্রীবাস্তবের কথায়, 'উত্তর প্রদেশে ৪৭-৪৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা এখন। লু বইছে এবং রোদের তাপ মারাত্মক। শরীরে জল এবং লবণ কমে যাচ্ছে ঘামের জন্য। দুপুরের দিকে ঘর থেকে না বেরনোই ভালো। কিন্তু পেটের তাগিদে সাধারণ মানুষকে নিত্যদিন বেরতে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, মরদেহের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় প্রচুর পরিমাণ কাঠ আনাতে হচ্ছে শ্মশানে। দেহ পোড়ানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৬৪৭ মেগাওয়াটে। এর আগে ৮ হাজার মেগাওয়াট পেরলেও একদিন নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
No comments