সাধারণ লোকসভা নির্বাচনের পর উল্লাস নেই নন্দীগ্রামে, উল্লাস কেবলমাত্র পার্টি অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
ভোট গণনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে থমথমে নন্দীগ্রাম । ভোটের উন্মাদনার লেশমাত্র দেখা যায়নি সংগ্রামের পীঠস্থানে । যেটুকু উচ্ছ্বাস তা কেবল …
সাধারণ লোকসভা নির্বাচনের পর উল্লাস নেই নন্দীগ্রামে, উল্লাস কেবলমাত্র পার্টি অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
ভোট গণনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে থমথমে নন্দীগ্রাম । ভোটের উন্মাদনার লেশমাত্র দেখা যায়নি সংগ্রামের পীঠস্থানে । যেটুকু উচ্ছ্বাস তা কেবল পার্টি অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । সোনাচূড়া, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া, হরিপুর, বিরুলিয়া, বয়াল, আমদাবাদ সহ পাশাপাশি এলাকার বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের মধ্যেই সারাদিন কাটিয়েছেন । সেক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযান, টহলদারি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে বলে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুই যুযুধান শিবিরের কর্মীদের একাংশের যুক্তি । তবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গননার যত রাউণ্ড এগিয়েছে, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসের চিত্রটাও ক্রমশ বদলে গিয়েছে । রাউণ্ড অনুযায়ী ভোটের মার্জিনের ওঠা-পড়া থাকে । তা ভেবে এদিন দুপুর পর্যন্ত লোকজনের ভিড় দেখা গিয়েছে । কিন্তু তারপর গননায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এগিয়ে থাকার বিষয়টি অনেকাংশে পাকা হয়ে যায় । তার মানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের পরাজয় সুনিশ্চিত । তা বুঝে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসের লোকজন বাড়িমুখো হতে থাকে । নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসের ছবিটাও ছিল প্রায় একই রকম । বিকেলের পর পার্টি অফিস বন্ধ ছিল । তবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হলেও প্রাকশ্যে এলাকায় জোরালো উন্মাদনা চোখে পড়েনি । সেক্ষেত্রে পাল্টা বিরোধী শিবিরের হামলার ভয় কাজ করেছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা । কিন্তু বাস্তবে তা নয় । তার কারণ জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাহেব দাস । তিনি বলেন,"আমাদের আশানুরূপ ফল হয়নি রাজ্যে । তাই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী জয়ী হলেও উচ্ছাসের জায়গা নেই । তাই প্রকাশ্যেও দলীয় কর্মীদের কোন বিজয় উল্লাস দেখা যায়নি ।" ভোট গণনার দিন নন্দীগ্রাম কেন নীরব, সেই যুক্তি দেখাতে গিয়ে স্থানীয় বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি সেক সুপিয়ান জানিয়েছেন,"তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে আমরা জয়ী হবো ভেবেছিলাম । সেইমতো বুথ ধরে ধরে আমরা লড়াই করেছি । কিন্তু রেজাল্ট হতাশা জনক হওয়ার কারণে উচ্ছ্বাস উন্মাদনার জায়গা নেই । কেন এমন রেজাল্ট হল তা নিয়ে আমরা নিশ্চয়ই পর্যালোচনা করব ।" তবে তৃণমূল, বিজেপি শিবির তাদের মতো যুক্তি দেখালেও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে "ম্যাচের সেরা"শিরোপা কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে পুলিশ প্রশাসনের প্রাপ্য । নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মন্ডল জানিয়েছেন,"তিন কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্স এবং ৪০০ রাজ্য পুলিশ নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে । নন্দীগ্রামের সমস্ত রাস্তা দিয়ে তাদের টহলদারি নজরদারি সবটাই জানি রয়েছে । স্বাভাবিকভাবে নন্দীগ্রাম ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।"
No comments