Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের সমীক্ষক দল

কেন্দ্রের সমীক্ষক দল


ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের সমীক্ষক দলহলদিয়া বন্দর থেকে সরাসরি চিন, জাপান, মালয়েশিয়ায় কন্টেনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হল। কম খরচে দ্রুত আমদানি-রপ্তানির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (কলকাতা) কর্তৃপক্ষ হলদ…

 



কেন্দ্রের সমীক্ষক দল




ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের সমীক্ষক দল

হলদিয়া বন্দর থেকে সরাসরি চিন, জাপান, মালয়েশিয়ায় কন্টেনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হল। কম খরচে দ্রুত আমদানি-রপ্তানির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (কলকাতা) কর্তৃপক্ষ হলদিয়া থেকে এই পরিষেবা শুরু করেছে। চিনের সাংহাই বন্দর ও হলদিয়ার মধ্যে এই প্রথম কন্টেনার জাহাজের 'উইকলি চায়না এক্সপ্রেস সার্ভিস' চালু হল। এরফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্রুত উন্নয়নমুখী রাজ্যগুলির শিল্প বিকাশে আরও সুবিধে হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের সঙ্গে চিন, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য হয় মূলত হলদিয়া বন্দর মারফৎ। চিন বা মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা পণ্য এতদিন হলদিয়া আসত সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর ঘুরে। ঘুরপথে একাধিক জাহাজে ওই পণ্য

আমদানি বা রপ্তানিতে বেশি সময় লাগত, বাড়ত খরচের বহরও। এবার একটি জাহাজেই সরাসরি চিনের সাংহাই বা মালয়েশিয়ার কেলং থেকে হলদিয়া পৌঁছবে কন্টেনার বোঝাই জাহাজ। সাংহাই-হলদিয়ার মধ্যে পণ্য যাতায়াতে আগে গড়ে ২২-২৫দিন লাগত। এখন চিনের সঙ্গে হলদিয়ার ডাইরেক্ট সার্ভিস চালু হওয়ায় ১০-১১ দিনেই গন্তব্যে পৌঁছবে পণ্য।

হলদিয়া বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হংকংয়ের এসআইটিসি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি শিপিং সংস্থা হলদিয়া ও চিনের বিভিন্ন বন্দরের মধ্যে ডাইরেক্ট উইকলি এক্সপ্রেস সার্ভিস চালু করছে। এসআইটিসি আন্তঃ-এশিয়া এলাকায় একটি নেতৃস্থানীয় শিপিং লজিস্টিক কোম্পানি। এদের প্রায় ১০০টি জাহাজ এশিয়ার ১৩টি দেশের ৭০টি রুটে চলাচল করে। চিন, জাপান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্দরগুলিতে এদের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। হলদিয়ার নয়া রুটে এবার এসআইটিসি উইকলি জাহাজ সার্ভিস চালু করছে। মূলত কন্টেনার জাহাজ চালাবে ওই সংস্থাটি। হলদিয়া-সাংহাই, হলদিয়া-কেলং, হলদিয়া-ইয়াঙ্গন রুটে সপ্তাহে একটি করে জাহাজ চলাচল করবে। মালয়েশিয়ার কেলং হয়ে জাপানের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করবে এসআইটিসি। এসআইটিসি নাঙ্গোয়া নামে একটি কন্টেনার জাহাজ সাংহাই থেকে হলদিয়ার ইন্টারন্যাশনাল কন্টেনার টার্মিনালে এসে পৌঁছেছে। ৪৫৩টি কন্টেনার নামানোর কাজ চলছে বন্দরের ডক এরিয়ায় ১১ নম্বর বার্থে। আগামী সপ্তাহে এসআইটিসি তিয়ানজিঙ নামে আরও একটি জাহাজআসছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেন, চিনের সঙ্গে হলদিয়া বন্দরের এই ডাইরেক্ট শিপিং সার্ভিস পূর্ব ভারতে শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। হলদিয়া বন্দরেনতুন সার্ভিসের লক্ষ্য, এই অঞ্চলের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বা এক্সিম ট্রেডকে আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শিপিং লজিস্টিকসে ডাইরেক্ট সার্ভিসের ফলে চিন, জাপান, মালয়েশিয়া, মায়ানমার থেকে জাহাজে পণ্য আমদানি রপ্তানির খরচ প্রায় ৩৫ শতাংশ সস্তা হবে। এই সার্ভিস নিয়মিত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, চিন থেকে ভারতে ওষুধের কাঁচামাল, ইলেকট্রনিক্স পণ্য সহ বিভিন্ন জিনিস আমদানি করা হয়। এখন এগুলি কলম্বো বন্দর হয়ে হলদিয়া পৌঁছয়। কলম্বো বন্দরে এত জাহাজের ভিড় যে চিন থেকে কন্টেনার এসে দু'সপ্তাহ পড়ে থাকে। এবার সরাসরি চিন-হলদিয়া রুট চালু হওয়ায় দ্রুত পণ্য আমদানি রপ্তানির সুবিধে হবে। শিল্প সংস্থাগুলি কম সময়ে কম খরচে পণ্য পাবে। এছাড়া দ্রুত পচনশীল পণ্য অর্থাৎ ফল, সব্জি আমদানি রপ্তানিতে সুবিধে হবে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস বলেন, হলদিয়া ও কলকাতার মধ্যে এবার কন্টেনার ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে শিল্প সংস্থাগুলির দিকে তাকিয়ে। হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা আগের তুলনায় বেড়েছে। বড় জাহাজ হলদিয়ায়

কান্ডলা (দীনদয়াল পোর্ট), তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন (চিদাম্বরম পোর্ট) এবং কলকাতা-হলদিয়া (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট) বন্দরকে স্টাডি ম্যাপ তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তিনটি বন্দরকে লজিস্টিক মডেল হিসেবে তৈরি করা হবে। পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতকে নয়া পোর্ট লজিস্টিক্স ম্যাপে জুড়বে জাহাজ মন্ত্রক ও শিল্প মন্ত্রক। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশান অব ইন্ডাস্ট্রি এন্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড সংক্ষেপে ডিপিআইআইটির লজিস্টিক ডিভিশনের আধিকারিকরা রয়েছেন সমীক্ষক দলে। ডিপিআইআইটির নেতৃত্বে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ওই পোর্ট প্রসেস ম্যাপিংয়ের সমীক্ষা করবে। এদের লক্ষ্য হলদিয়া বন্দরকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পূর্ব ভারতে শিল্পের বিকাশ।

হলদিয়া বন্দরের পড়ে থাকা জমি কাজে লাগিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ লজিস্টিক্স সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে। শিল্প এবং লজিস্টিক পরিকাঠামো গড়ার জন্য বন্দরে হাতে কয়েকশো একর জমি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের এক আধিকারিক। বন্ধ সার কারখানা এইচএফসির ১৭৫ একর জমি রসায়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে বন্দর দীর্ঘদিন ধরে ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া এইচএফসির টাউনশিপ এলাকায় বন্দরের প্রচুর লিজ জমি রয়েছে। দু'টি জমিই বন্দরের হাতে চলে আসবে শীঘ্রই। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ এইচএফসির পড়ে থাকা জমিতে স্মার্ট পোর্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন তৈরির জন্য দু'দফায় টেন্ডার ডেকেছিল। কিন্তু তেমন সাড়া মেলেনি। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীণকুমার দাস বলেন, স্মার্ট পোর্টের জন্য শিল্প গড়তে বন্দর যে টেন্ডার ডেকেছিল, সেখানে শিল্পের জন্য সাড়া না পেলেও কয়েকটি লজিস্টিক্স কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। পোর্ট প্রসেস স্টাডি ম্যাপ তৈরি হলে বিশেষজ্ঞদের গাইডলাইন মেনে এগবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়ায় লজিস্টিক হাব বা স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরি হলে দেশ বিদেশের শিল্প সংস্থাগুলি এগিয়ে আসবে।

No comments