Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নেতা বা কাউন্সিলার বহিরাগত হকারদের বেআইনিভাবে বসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সরাসরি গ্রেপ্তারির হুমকি দিলেন

নেতা বা কাউন্সিলার বহিরাগত হকারদের বেআইনিভাবে বসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সরাসরি গ্রেপ্তারির হুমকি দিলেনএকদিকে ফুটপাত ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করা, আর অন্যদিকে হকারদের জীবন-জীবিকা বজায় রাখা। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে কাঠিন্য বজায় রাখতে গিয়…

 


নেতা বা কাউন্সিলার বহিরাগত হকারদের বেআইনিভাবে বসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সরাসরি গ্রেপ্তারির হুমকি দিলেন

একদিকে ফুটপাত ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করা, আর অন্যদিকে হকারদের জীবন-জীবিকা বজায় রাখা। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে কাঠিন্য বজায় রাখতে গিয়ে মানবিকতার মন্ত্র থেকে যে তিনি দূরে সরে যাননি, তার প্রমাণ আরও একবার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাকা খেয়ে যে নেতা বা কাউন্সিলার বহিরাগত হকারদের বেআইনিভাবে বসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সরাসরি গ্রেপ্তারির হুমকি দিলেন তিনি। এমনকী এমন কাণ্ডে জড়িত পুলিস কর্মী বা অফিসারদেরও রেয়াত করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বেআইনিভাবে দখল করে থাকা জমি থেকে সরে নিয়ম মেনে চলার জন্য হকারদের একমাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেন মমতা। 

হকার সমস্যা ও সরকারি জমি জবরদখল ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতেই বৈঠকের সুর বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের হয়রানি কমানোর সঙ্গেই হকারদের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত করতে হবে।’ এই প্রসঙ্গেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তাঁর ধমক, ‘আগে আপনারাই টাকা নিয়ে হকার বসিয়েছেন। আর এখন বুলডোজার চালাচ্ছেন! আমি বুলডোজার চালাতে বলিনি। একটা সিস্টেম তৈরি করতে বলেছি।’ তারপরই আগামী দিনে কীভাবে এই হকার সমস্যার সমাধান করা যায়, তার দিক নির্দেশ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। হকার-প্রতিনিধিদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দখলমুক্ত করার অভিযান আপাতত এক মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তবে এই ৩০ দিনে হকারদের ফুটপাত মুক্ত করার শর্ত দিয়েছেন মমতা। তারই মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে রাজ্যের মোট হকার সংখ্যা নির্ধারণ এবং হকার সমস্যা মেটাতে একটি রোডম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে তাঁর সরকার। এই সমীক্ষার দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন পুরদপ্তরকে। বিকেলে নগরোন্নয়ন দপ্তরে বৈঠকের পর রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সমীক্ষার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে সবটাই নিয়মের মধ্যে থেকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতাকে গ্রেপ্তারির ঘটনা উল্লেখ করে হুঁশিয়ার করে দেন মমতা। মনে করিয়ে দেন, অনিয়মের অভিযোগে কীভাবে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির দলের ব্লক সভাপতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল, কাউন্সিলার ও পুলিস শ্রেণিকে সতর্ক করে দেওয়া। বলেন, ‘লোভ সংবরণ করুন। আপনাদের কেউ যদি বেআইনিভাবে হকার বসিয়ে সরকারি জমি বা ফুটপাত দখল করাতে থাকেন, আপনাদের গ্রেপ্তারির অর্ডার দেব।’ 

হকার সমস্যার জন্য কলকাতার ঐতিহ্যশালী গ্র্যান্ড হোটেলের অতিথিদের সমস্যার কথাও উঠে আসে এদিনের বৈঠকে। ওই এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবব্রত মজুমদার, দেবাশিস কুমার ও অতীন ঘোষদের। একইসঙ্গে গত দু’দিনের অভিযানে যে সব হকারের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ, এঁদের মধ্যে যাঁরা স্থানীয় এবং গরিব, তাঁদের পাশে সরকার দাঁড়াবে। তবে দেখতে হবে, আগামী দিনে সুশৃঙ্খলভাবে যেন হকাররা কাজ চালান। এই ইস্যুতে রাজ্যের প্রতিটি পুর এলাকায় ‘হকিং’ এবং ‘নন হকিং’ জোন চিহ্নিতকরণ সহ একাধিক পদক্ষেপের উল্লেখ করেন মমতা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হকার উচ্ছেদ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপে কিন্তু বুধবার সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। শহর ও শহরতলিতে যে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, তা আইন অনুযায়ী হচ্ছে না—এই দাবিতে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের দাবিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিষয়টির উল্লেখ করেন আইনজীবী সামিম আহমেদ। যদিও বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, এটা কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গার ঘটনা নয়। তাই এটা জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দাখিল করা উচিত। মামলা করতে হলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে হবে।

No comments