Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অনলাইন ট্রেডিং করতে গিয়ে ২২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার তরুণী

অনলাইন ট্রেডিং করতে গিয়ে ২২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার তরুণী ৭ মে অনলাইন ট্রেডিংয়ে টাকা বিনিয়োগ করতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ২২ লক্ষের বেশি টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার দুর্গাচক টাউনের এক তরুণী। গুগল ম্যাপ রিভিউ করার একটি প্রকল্পে কা…

 




অনলাইন ট্রেডিং করতে গিয়ে ২২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার তরুণী

 ৭ মে অনলাইন ট্রেডিংয়ে টাকা বিনিয়োগ করতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ২২ লক্ষের বেশি টাকা খোয়ালেন হলদিয়ার দুর্গাচক টাউনের এক তরুণী। গুগল ম্যাপ রিভিউ করার একটি প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নাম করে সাইবার প্রতারকরা তাঁকে ফাঁদে ফেলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে অজানা নম্বর থেকে ফোন করে সাইবার প্রতারকরা তাঁকে একটি সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করে। এরপর ওই তরুণীকে কাজ দেওয়ার নাম করে 'টাস্ক জব' দিতে শুরু করে। ওই টাস্ক জবের বিনিময়ে কয়েক হাজার টাকা পাইয়ে দিয়ে ফাঁদে ফেলে সাইবার প্রতারকদের ওই সংস্থা। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তরুণীকে লক্ষ লক্ষ টাকা 'প্রফিট'এর প্রলোভন দেখায় তারা। একের পর এক লিঙ্ক পাঠিয়ে সাইবার ট্রেডিংয়ে টাকা বিনিয়োগ করতে ওই সংস্থা বাধ্য করে বলে তরুণীর অভিযোগ। শেষমেস ২২ লক্ষ টাকা খুইয়ে তরুণী দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার দুর্গাচকের বাসুদেবপুর খঞ্জনচক এলাকার বাসিন্দা রুকসানা খাতুন অনলাইন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করতে গিয়ে ২২ লক্ষ ৫১হাজার ৪৩৫ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই তরুণীর কাছে গত ১৬ এপ্রিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক আসে। ব্র্যান্ডিং এক্সপার্টস ডিসকাশান গ্রুপ বি২২৪ নামে একটি সংস্থা লিঙ্ক পাঠিয়ে তাদের গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। ঋষিমা সিধু নামে তাদের এক এইচআর তরুণীকে গুগল ম্যাপ রিভিউ করার প্রজেক্টে কাজ করার অফার দেয়। আসলে গুগলের নাম করে সাইবার প্রতারকরা প্রথমে ফাঁদ পেতেছিল। গুগলের কথা শুনলে সবাই আগ্রহী হবে বলে টোপ দেয়। সেই টোপ গিলেই সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়েছেন তরুণী। 

পুলিস জানিয়েছে, রুকসানাকে ওই সংস্থা প্রথমে গুগল ম্যাপ রিভিউ করার কাজ দেয়। এজন্য প্রথমে তাঁকে ১৫০ টাকা পেমেন্ট করে নাম নথিভুক্ত করতে বলে। ওই সময় প্রথমে তাঁর কাছে দ্যা লেমনটি প্রিমিয়ার, অ্যাট্রিয়াম আমেদাবাদের নামী হোটেল গ্রুপের রিভিউ করার জন্য লিঙ্ক পাঠায় সাইবার প্রতারকরা। ওই সময় নাম, ঠিকানা সহ যাবতীয় ডিটেলস দিতে আপলোড করেন রুকসানা। টাকা লেনদেনের জন্য রুকসানার নামে পেমেন্ট কোড চালু হয় এবং সেই সঙ্গে ওই সংস্থার প্রিমিয়ার টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। তাঁর মতো আরও ৫০০জনের নাম দেখতে পান সেখান। এরপরই 

প্রতারকদের সংস্থা অফার দেয়, ওই প্রকল্পের মাধ্যমে গুগল তাদের ক্লায়েন্টদের ব্যবসায়িক লেনদেন বিষয়ে পর্যালোচনা, ক্লায়েন্টদের মনোবল বাড়ানোর কাজ করতে হবে। এগুলি টাস্ক জবের আকারে দেওয়া হবে। টাস্ক শেষ করার পর স্ক্রিনশট পাঠাতে হবে, তারপর মিলবে টাকা।বিশ্বাস তৈরি হয়। এরপর ফাঁদে ফেলতে একাধিক টেলিগ্রাম লিঙ্ক পাঠিয়ে তার মাধ্যমে অনলাইন ট্রেডিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে তাঁকে যুক্ত করে সাইবার প্রতারকদের সংস্থা। প্রথমে ১৫০, ১০০০, ২৫০০টাকা দিয়ে শুরু করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই প্রলোভনে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢালতে শুরু করেন রুকসানা। তাঁকে বাধ্য করানো হয়, লভ্যাংশের টাকা ফেরত পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢালতেএইভাবে ১৫ দিনে রুকসানা ৩০বার ট্রানজাকশান করেন। প্রায় প্রতিদিনই ২ বা ৩ লক্ষ করে টাকা বিনিয়োগ করেন। শেষে লভ্যাংশ সহ ২০ লক্ষ টাকা তুলতে ৩ লক্ষ টাকা টাকা ট্যাক্স চায় সংস্থাটি। বলা হয়, ওই টাকা পাঠালে রুকসানা তার ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে সমস্ত টাকা ফেরত পাবে। রুকসানা টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে ধার করে কোনওরকমে ২লক্ষ টাকা পাঠাতে সক্ষম হয়। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে শেষমেস প্রতারকরা তাঁকে 'ব্লক' করে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

 অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। পুলিস ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস জানিয়েছে, হলদিয়ায় অনলাইন ট্রেডিং করতে গিয়ে প্রায়ই টাকা খোয়াচ্ছেন মানুষ।






No comments