শোলাট মহেন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় সর্বোচ্চ অঙ্কিতা সিনহা প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল শোলাট মহিন্দ্র বালিকা বিদ্যাভবন গভঃ স্পনসর্ড । হলদিয়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ২১ জন পরীক্ষা দিয়েছিলো, স…
শোলাট মহেন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় সর্বোচ্চ অঙ্কিতা সিনহা
প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল শোলাট মহিন্দ্র বালিকা বিদ্যাভবন গভঃ স্পনসর্ড । হলদিয়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ২১ জন পরীক্ষা দিয়েছিলো, সবাই পাশ করেছে। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২১ জন স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন অঙ্কিতা সিনহা ৬৪৮. অঙ্কিতা সহ স্কূলেরসমস্ত ছাত্রীদের কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভনা প্রধান। হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে জানালেন এই বিদ্যালয়ে যিনি ভূমি দান করেছিলেন তার স্বপন পূরণ হচ্ছে ধীরে ধীরে।
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিরক্ষরতা অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে কন্যা সন্তাদের জীবনে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যিনি এগিয়ে এসেছিলেন ১৯৫৪ সালে মুক্তাকেশী সিনহা। গ্রামের কন্যা সন্তানরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে সে কথা কেউ ভাবতে পারেনি বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুর শিক্ষা সংস্কৃতি এগিয়ে বিদ্যাসাগর নিজেই মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই জেলার শিক্ষায় অগ্রগতি ঘটাতেই শোলাট গ্রামে গ্রামবাসী সহ শিক্ষানুরাগী, শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বর্গীয় মুক্তাকেশী সিনহার হাত ধরেই ১৯৫৪ সালের ১ লা জানুয়ারি স্কুলটির শুরু হয়েছিল। প্রথমে মুক্তাকেশী সিনহার নিজে বাড়িতেই।
সেই বিদ্যালয়টি তিলে তিলে তিলোত্তমা হয়ে ৭০ বছর পেরিয়ে ৭১ বছরের পদার্পণ করেছে। বহু -ছাত্রী এই স্কুল থেকে বেরিয়ে তারা আজকের সফল জীবনে জীবন যাপন করছেন। আজকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনার পরিবারের এক কন্যা সন্তান স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সেজন্য আমি খুবই গর্বিত। আজকের সকল সফল ছাত্রীদের ধন্যবাদ এবং তাদের এগিয়ে চলার জীবনে সফলতা কামনা করি।
No comments