Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গাছের পুষ্টি উপাদান

গাছের পুষ্টি উপাদান
গাছের বৃদ্ধির ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।এর কোন একটির অভাব হলে গাছের বৃদ্ধি ভাল ভাবে হয় না। এমন কি গাছ মারা যেতে পারে। প্রিয় পাঠক, আসুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানা যাক।গাছ ৯০ টিরও বেশী পুষ্ট…

 



গাছের পুষ্টি উপাদান


গাছের বৃদ্ধির ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়।

এর কোন একটির অভাব হলে গাছের বৃদ্ধি ভাল ভাবে হয় না। এমন কি গাছ মারা যেতে পারে। প্রিয় পাঠক, আসুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানা যাক।

গাছ ৯০ টিরও বেশী পুষ্টি উপাদান ধারণ করে। এর মধ্যে ১৭ টি (পূর্বে ১৬টি+Co ) অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। উপাদানগুলো হচ্ছে – কার্বন©,হাইড্রোজেন(H) ,অক্সিজেন(O),নাইট্রোজেন (N),ফসফরাস (P),পটাশিয়াম (K), সালফার(S),ক্যালসিয়াম (Ca), ম্যাগ্নেশিয়াম(Mg),আয়রণ (Fe), ম্যাঙ্গানিজ(Mn),জিংক (Zn),কপার (Cu), বোরন(B), মলিবডেনাম(Mo), ক্লোরিন(Cl), কোবাল্ট(Co),

এছাড়াও সিলিকন(Si),সোডিয়াম (Na), & ভেনেডিয়াম– কিছু উদ্ভিদের জন্য উপকারী। এই পুষ্টি উপাদানগুলোর ভিতরে কার্বন©,হাইড্রোজেন(H) ,অক্সিজেন(O), গাছ-বাতাস ও পানি  থেকে গ্রহণ করে থাকে।বাকি উপাদানগুলো মাটি থেকে পায়। এ গুলোকে খনিজ পুষ্টি বলা হয়।

 প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে গাছের পুষ্টি উপাদানগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

১) মুখ্য বা macro nutrient-– কার্বন©,হাইড্রোজেন(H) ,অক্সিজেন(O),নাইট্রোজেন (N),ফসফরাস (P),পটাশিয়াম (K), সালফার(S),ক্যালসিয়াম (Ca),

 ২) গৌন বা micro  পুষ্টি উপাদানঃ ম্যাগ্নেশিয়াম(Mg),আয়রণ (Fe), ম্যাঙ্গানিজ(Mn),জিংক (Zn),কপার (Cu), বোরন(B), মলিবডেনাম(Mo), ক্লোরিন(Cl), কোবাল্ট(Co),ফ্লোরিন (Fl)


 C, H,O গাছের গঠনের (শক্ত বস্তু বা dry matter ) ওজনের-৯০-৯৫%

 N, P, K  প্রাথমিক পুষ্টি উপাদান (Primary nutrient)

S, Ca, Mg, Secondary পুষ্টি উপাদান ।

গাছ নিজের শরীর গঠন করতে-মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি উপাদান, বাতাস থেকে  CO2 এবং সূর্যের আলো থেকে শক্তি গ্রহণ করে।উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে-মাটি থেকে, রাসায়নিক বা খনিজ সার, জৈব উৎস, বায়ুমন্ডলের যা biological fixation হয়। atmospheric deposition, সেচ, বন্যা এবং Sedimentation  থেকে।

আবহাওয়ার উপাদান ব্যতীত উদ্ভিদ সাধারণত তিন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়

– পোকার মাধ্যমেঃ এতে পোকা আক্রান্তের বৈশিষ্ট

– রোগঃ ছত্রাক ব্যাক্টিরিয়া ও ভাইরাস

– মাটির পুষ্টি জনিত সমস্যা

পুষ্টি উপাদানের অভাব জনিত Common বৈশিষ্ট- গাছ খাট ও ক্ষীনকার হয় । ফুল ফল না হওয়া/দেরীতে হওয়া/বিকৃত হওয়া/ঝড়ে পড়া, স্বাদ ও মানে নিম্ন হওয়া।

N- কাজঃ প্রোটিন, নিউক্লিয়িক এসিড ও ক্লোরোফিল গঠন করে।

লক্ষন-নীচের বয়স্ক পাতা থেকে ক্রমান্বয়ে উপরের পাতা হলুদ বর্ণ ধারন করে। নাইট্রোজেনের অভাবে পুরো ফসল সমানভাবে হলুদ হয়।

– পূর্ণ বয়সের আগেই ফুল ধরে।

– ধান গম ও অন্যান্য দানা শস্যে কুশি কম হয়।

P- কাজঃ নিউক্লিয়িক এসিড ও ফসফোলিপিড গঠন করে। energy transfer  করে

লক্ষন-গাছ খাট, কুশি কম, পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণ ধারণ করে। পাতা ও কান্ডে লালচে বেগুনী রং।

– ফল পাকতে দেরী হয়। শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। Nodded কম হয়।

– ফুল ও ফল কম ধরে। বীজ উৎপাদন হ্রাস পায়।

K- কাজঃ enzyme actuate করে। এসমটিক ও আয়নিক নিয়ন্ত্রন

লক্ষন- বয়স্ক পাতার আগা কিনারা ঝলসে বা পুড়ে যাওয়ার মত হয়।

– কান্ড দুর্বল, হেলে পড়ে, রোগ, খরা ও শৈ্ত্য সংবেদনশীল।

– বীজ ও ফল আকারে ছোট হয় ও কুচকে যায়। পাতা, ফুল ফল ঝরে পড়ে।

– সীম জাতীয় গাছের পাতায় সাদা ছোপ ছোপ দাগ।

S- কাজঃ এমাইনো এসিড, বায়োটিন, Vit-B কো-এনজাইম-A গঠন।

লক্ষন- অম্লীয় ও কম জৈব পদার্থ মাটিতে অভাব দেখা দেয়

– কচি পাতা হলদে-সাদা হয়। ধীরে ধীরে পুরাতন পাতায় ।

– ফসল পাকতে দেরী হয়।

Ca- কাজঃ কোষের পর্দা গঠন ও কোষ বিভাজন  এ ভূমিকা রাখে।

লক্ষন- নতুন পাতা সাদা হয়ে যায়।

– বাড়ন্ত অংশ (ডগা, বোটা) মরে যায়, কুকড়ে যায়।

Mg- কাজঃ ক্লোরোফিল গঠন। এনজাইমের বিক্রিয়ার  ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে।

লক্ষন- বয়স্ক পাতা হালকা সবুজ বা হলদে রং হয় তবে শিরা গুলো সবুজ থাকে।

– খরার প্রভাবের এর মত পাতা মোড়ানো

– কম PH ও হালকা বুনটের মাটিতে Mg এর অভাব হয়।

Zn- কাজঃ Auxin তৈরী করে dehydrogenage  ensyme activate করে Rhibosom এর কাজ নিয়ন্ত্রন।

লক্ষন- কচি পাতার মধ্যশিরা গোড়ার দিকে সাদা হয়ে যায়।

– পুরাতন পাতায় মরিচার মত ছোট ছোট দাগ হয়। পরে পাতা বাদামী বর্ণ ধারণ করে।

– ফসলের  অসমান বৃদ্ধি হয়, ফসল দেরীতে পরিপক্ক হয়।

– অধিক অম্ল, চুন যুক্ত মাটি, সারা বছর ভেজা মাটিতে অভাব হয়।

B- কাজঃ কার্বহাইড্রেট মেটাবলিজম, সোটিন সিনথেসিম ও বীজ গঠন ।

লক্ষন- বাড়ন্ত ডগা মারা যায়। পাতার ডগা ফেকাশে সবুজ, ব্রোঞ্চ আভাযুক্ত।

– ফলের আকার বিকৃত হয়, দানা হয় না (চিনাবাদাম)

No comments