পেট থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গেছে
অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের পরিকল্পনা করেছিল জিন্নাত আলি মণ্ডল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এক্স-রে করতেই পেটে হদিশ মিলল এক কেজি সোনার। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের হাঁড়িপুকুর এলাকার ওই যুবকে…
পেট থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গেছে
অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের পরিকল্পনা করেছিল জিন্নাত আলি মণ্ডল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এক্স-রে করতেই পেটে হদিশ মিলল এক কেজি সোনার। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের হাঁড়িপুকুর এলাকার ওই যুবকের কীর্তি দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বিএসএফ কর্তাদের।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিন্নাতের পেট থেকে পাওয়া গিয়েছে ১২টি সোনার বিস্কুট। ওজন প্রায় ১ কেজি ৪০ গ্রাম। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য ৭৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৩১ টাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা কাঁটাতারের ওপারে হাঁড়িপুকুর গ্রামে কিছুদিন লুকিয়ে রাখা ছিল। বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্ত পেরিয়ে হিলিতে নিয়ে আসার সুযোগ খুঁজছিল পাচারকারীরা। গোয়েন্দা সূত্রে বিএসএফের কাছে সোনা পাচারের আগাম খবর ছিল। বিএসএফ নজরদারি বাড়াতেই পাচারকারীদের মাথায় হাত পড়ে। বাধ্য হয়ে তারা কৌশল বদলে পেটের ভিতর ঢুকিয়ে সোনার বিস্কুটগুলি কাঁটাতারের এপারে পাচারের চেষ্টা চালায়। জিন্নাতের কাঁধে পড়ে সেই দায়িত্ব। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিএসএফ জানতে পেরেছে, ৮টি বড় ও ৪টি ছোট আকারের সোনার বিস্কুট মলদ্বার দিয়ে জিন্নাতের পেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে সে হাঁড়িপুকুর গেট দিয়ে এপারে চলে আসে। এরপর বিএসএফের তল্লাশির মুখে পড়ে। সন্দেহ হতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ। ঠিকমতো প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় জিন্নাতকে আটক করে হিলি হাসপাতাল মোড়ের একটি বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার পেটের এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, তার তলপেটে ৮টি বড়, চারটি ছোট ধাতব বস্তু রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাতকে মলত্যাগ করানোর জন্য ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতেই বেরিয়ে আসে সোনার বিস্কুটগুলি। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে বিএসএফ কর্তাদের।
সীমান্ত দিয়ে এমন অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের ঘটনা সামনে আসায় চিন্তা বেড়েছে বিএসএফ কর্তাদের। ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিক মণীশ এস রাঠোর বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল বাংলাদেশ থেকে হাঁড়িপুকুর এলাকা দিয়ে সোনা এপারে আনা হবে। সেইমতো আমরা তল্লাশি শুরু করি। জিন্নাত আলি মণ্ডলকে দেখে সন্দেহ হয়। তার শরীরের এক্স-রে করানো হয়। এতেই তার পেটে ধাতব বস্তু দেখা যায়। ওষুধ খাওয়ানোর পর মলের সঙ্গে ওই যুবকের পেট থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট বেরিয়ে আসে। সেগুলির ওজন প্রায় এক কেজি।
No comments