Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রবিবার বেশি রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়বে

রবিবার বেশি রাতের দিকে  পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়বে
আগামী কাল, রবিবার বেশি রাতের দিকে  পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়বে বলে শুক্রবার জানিয়েছে ক…

 

রবিবার বেশি রাতের দিকে  পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়বে


আগামী কাল, রবিবার বেশি রাতের দিকে  পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়বে বলে শুক্রবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের বরিশাল ডিভিশনের খেপুপাড়ার মধ্যে উপকূলের কোন জায়গায় ‘ল্যান্ডফল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলের বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি হলেও এর প্রভাব কলকাতাসহ  দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়েই পড়বে। প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে উপকূলবর্তী ও তার কাছাকাছি এলাকায়। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বড় ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা আছে। জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। অনেক জায়গাতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ কোনও কোনও স্থানে ১০০ কিমি ছাড়াতে পারে। আজ শনিবার থেকেই দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় জোরালো ঝড় ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোটও আছে। রবিবার থেকে ঝড়বৃষ্টির মাত্রা ও দুর্গত এলাকার ব্যাপ্তি আরও বাড়তে পারে। সোমবারও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হবে এইসময়ে। 

রবি ও সোমবার দুই ২৪ পরগনার জন্য ‘লাল’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  এই দু’দিন কলকাতার পাশাপাশি ‘কমলা’ সতর্কতা থাকছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলার জন্য। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য ‘কমলা’ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা রবি ও সোমবার বাকি সব জেলাতেই থাকছে। বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা যে জেলাগুলিতে আছে তার মধ্যে রয়েছে—দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭০-১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা ‘ভারী’ বৃষ্টি এবং ১২০-২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা ‘অতিভারী বৃষ্টি’ বলে ধরা হয়। 

বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে জোরালো ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রবি ও সোমবার ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলায় ঝড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিমি ছুঁতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ঘণ্টায় ৪০ কিমি থেকে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। 

আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বড় এলাকা জুড়ে পড়ে। কারণ সিস্টেমটি প্রায় একশো কিমি এলাকা জুড়ে থাকে। যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে তাতে, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপকূলে তুলনামূলকভাবে বেশি প্রভাব পড়বে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রের উপর থাকার সময় গতিপ্রকৃতির পরিবর্তন হতে পারে। সেটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে সরে আসার কিছুটা প্রবণতা ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে। তাই এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, ল্যান্ডফলটি ঠিক কোন জায়গা হবে। আজ, শনিবার এটা আরও পরিষ্কার হবে বলে আবহাওয়া অধিকর্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আজ, শনিবার সকালের মধ্যে এটি এই জায়গায় সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ও আরও শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকবে। ।

No comments