Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে মাধ্যমিক ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামে কিশোর পবিত্র দাস

বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে মাধ্যমিক ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামে কিশোর পবিত্র দাস

মাধ্যমিক পরীক্ষার দেড় মাস আগে বাবা মারা গিয়েছিল।সেই শোক কাটিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউ…

 




বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে মাধ্যমিক ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামে কিশোর পবিত্র দাস



মাধ্যমিক পরীক্ষার দেড় মাস আগে বাবা মারা গিয়েছিল।সেই শোক কাটিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামের কিশোর পবিত্র দাস।তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৬৬।সে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।সুতাহাটার অনন্তপুর দেশপ্রাণ জাতীয় বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের পড়ুয়া পবিত্র।তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গ্রামের বাসিন্দা সহ স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকারা।পবিত্র জানিয়েছে, "বাবা চেয়েছিলেন আমি যেন ভালো পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি।বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।" পবিত্রের পাঁচ ভাই বোন। পরিবারের ছোট ছেলে সে।বড় দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে।ছোট দিদি কলকাতায় একটি নেটওয়ার্ক সংস্থার অস্থায়ী কর্মী।দাদা পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে টিউশন পড়ায়।দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন মা বাসন্তী দেবী।তিনি জানান স্বামীকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে আমাদের পরিবার।এখন বাড়িতে গোরু,ছাগল,মুরগী প্রতিপালন করে এবং ছেলে-মেয়ের সামান্য উপার্জনের টাকায় কোনরকমে সংসার চলছে। কিন্তু পরিবারে অভাব অনটন থাকলেও ছোট ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেব না।পবিত্রের স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছে ছোট থেকেই ছেলেটি খুব মেধাবী।কিন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে বাবা মারা যাওয়ার জন্য পড়াশোনা কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল নাহলে আরও বেশি নম্বর পেতে পারতো।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার মণ্ডল,সহ-শিক্ষক জয়দেব পালরা জানান,আমরা পবিত্রের পাশে রয়েছি।একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফ্রি মুকুব সহ সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করবো।

পবিত্রের মা বাসন্তী দাস বলেন, "বিজ্ঞান বিভাগের সমস্ত বিষয়ে পৃথক শিক্ষক দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবুও চেষ্টা করবো ছেলের যেন পড়াশোনায় কোনরকম সমস্যা না হয়। পড়াশোনার ফাঁকে কম্পিউটারে তালিম নেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে মা কে সাহায্য করতে বাড়িতে পশুপখি প্রতিপালনে সময় দেয় পবিত্র জানিয়েছে, আমার সাইকেল ছিল না।পাড়ার দাদা দিদির সাইকেলে বা কখনো হেঁটেই স্কুলে যেতাম।দশম শ্রেণিতে 'সবুজ সাথী' প্রকল্পের সাইকেল পেয়ে ভীষণ উপকৃত হয়েছি।এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত মণ্ডল বলেষ, "ছেলেটি খুব শান্ত প্রকৃতির।পড়াশোনায় খুবই ভালো।ভবিষ্যতে সফল হোক।আমরা ওর পাশে আছি।"

No comments