Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে কি ৫৮,০০০ শিক্ষকও দুশ্চিন্তায়

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে কি ৫৮,০০০ শিক্ষকও দুশ্চিন্তায়
 কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল হয়েছে। যে রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে রাজ্য সরকার ও এসএসসি। এর মধ্যেই…

 



অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে কি ৫৮,০০০ শিক্ষকও দুশ্চিন্তায়


 কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল হয়েছে। যে রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে রাজ্য সরকার ও এসএসসি। এর মধ্যেই প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছে ২০১৪-এর প্রাথমিকের টেটের ভিত্তিতে বিভিন্ন দফায় নিয়োগ পাওয়া ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষক- শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ ঘিরেও। গত সপ্তাহে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক

অমরনাথ শাখা হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ৩০ এপ্রিল আরও ৫৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে যেতে পারে। তিনি কোনও মামলার কথা আলাদা করে উল্লেখ না-করলেও ঘটনাচক্রে ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ২০১৪- এর প্রাথমিকের টেটে বেনিয়ম সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এদিন হাইকোর্ট কোনও চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ খারিজ করেনি। তবে এদিন বিচারপতি মাস্থ্য যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে শেষমেশ ২০১৪-এর টেটে বেনিয়মের অভিযোগ মান্যতা পেলে তার ভিত্তিতে।

২০১৬, ২০২০ এবং ২০২২ সালে প্রাথমিকে যে নিয়োগ হয়েছে, তার সবটাই বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এবং সেজন্যই সব মিলিয়ে প্রাথমিকের এই ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকার অস্বস্তি বেড়ে গিয়েছে।



ইতিমধ্যে বিচারপতি মান্থার এজলাসে ২০১৪ সালের টেটে ব্যাপক বেনিয়মের ইঙ্গিত দিয়ে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আদালতে জমা পড়া সিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে বাইরের লোক নিয়োগ থেকে শুরু করে ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা, টেটে ফেল করা প্রার্থীদের পাশ হিসেবে দেখিয়ে গোটা প্রক্রিয়ায় কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এনিয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এদিন আরও কয়েকজন প্রার্থী মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। আদালত সবাইকে মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছে। আগামী আট সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে।


২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উপরে ২০১৬, ২০২০ ও ২০২২ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এর আগে ২০১৬-এর নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মোট ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়। ওই বেঞ্চে বর্তমানে ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে ২০১৬, ২০২০ ও ২০২২


সালে প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের মামলাগুলির শুনানি চলছে। সেখানেও সিবিআই প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষদের অভিযুক্ত করে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেভাবে বেনিয়ম হয়েছে, তার তথ্য জমা দিয়েছে। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে টেটে দুর্নীতির শুনানিতেও উঠে আসে ওই প্রসঙ্গ। সেখানেই বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, 'এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগই অস্তিত্ব হারাবে।'

এর আগের শুনানিতে বিচারপতি মান্থা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও সিবিআইকে নির্দেশ দেন, আসল ওএমআর শিট সামনে আনতে হবে। আদালত এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথাও বলে। কোনও কারণে আসল ওএমআর শিট না ফিরলে আদালত কড়া হাতেই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে ইঙ্গিত দেয়।

No comments