Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রেশনে আমূল পরিবর্তন হচ্ছে আগামী মাস থেকেই?

রেশনে আমূল পরিবর্তন হচ্ছে আগামী মাস থেকেই?
৮ জুন থেকে রেশন দোকানগুলিতে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে চাইছে খাদ্যদপ্তর। ওই যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত থাকবে। খাদ্যশ্রী ভবন থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের আধিকারিকদের কা…

 


রেশনে আমূল পরিবর্তন হচ্ছে আগামী মাস থেকেই?


৮ জুন থেকে রেশন দোকানগুলিতে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে চাইছে খাদ্যদপ্তর। ওই যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত থাকবে। খাদ্যশ্রী ভবন থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের আধিকারিকদের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ওই বার্তা। রেশনের চাল-গম বণ্টন ব্যবস্থায় পুরোপুরি স্বচ্ছতা আনতে এটা করা হচ্ছে বলে খাদ্যদপ্তরের দাবি। কিন্তু এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে রেশন ডিলারদের সংগঠন সংঘাতে নেমেছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডোরেশনের উদ্যোগে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। জানিয়েছে ডিলার সংগঠন। 

রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ই-পস মেশিন ও ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের সংযুক্তিকরণ কেন্দ্রও চাইছে। বিষয়টির দ্রুত রূপায়ণে কয়েক মাস ধরেই সক্রিয় রাজ্য। রাজ্যের সব রেশন ডিলারের কাছে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে। ই-পসের সঙ্গে যুক্ত করে ওই যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করার জন্য খাদ্যদপ্তর আগেই ডিলারদের পরামর্শ দেয়। কিন্তু ডিলারদের একটি বড় অংশই তা করেননি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের পর্ব শেষ হওয়ার পরই জুন মাসের প্রথমার্ধে এটি বাধ্যতামূলক করার জন্য সক্রিয় হয়েছে খাদ্যদপ্তর। 

ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র ব্যবহার করবে না, ডিলার সংগঠন এমনটা সরাসরি বলছে না। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ই-পস এবং ওজনযন্ত্র ব্যবহারের জন্য ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ২১ টাকা করে কমিশন পাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় সরকার ওই কমিশনের হার নির্দিষ্ট করে দিলেও এখানে ডিলারদের তা দেওয়া হয় না। ওই অতিরিক্ত কমিশন দিয়েই নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সমস্যাটি নিয়ে মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য খাদ্যদপ্তর ওই অতিরিক্ত কমিশনের একটা বড় অংশ ই-পস ও ওজনযন্ত্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে দেয়। ই-পসের সঙ্গে ওজন যন্ত্র যুক্ত থাকলে, একজন গ্রাহককে তাঁর প্রাপ্য বরাদ্দ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গেই স্লিপ বেরবে। তখন এই লেনদেন নথিভুক্ত হবে খাদ্যদপ্তরের সার্ভারেও। এর মাধ্যমে খাদ্যদপ্তর জেনে যাবে, একজন গ্রাহক বাস্তবে কী পরিমাণ চাল-গম পাচ্ছেন। খাদ্যদপ্তর মনে করে, এখন যে ব্যবস্থা চলে, তাতে কম ওজনের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সরকার ও গ্রাহককে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

No comments