Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন

কাঁথি পি কে কলেজের স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন কাঁথি পিকে কলেজে স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন বসে থাকার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই কলেজের এনসিসি রুমের মধ্যে বিজেপির কয়েকজন বসেছিলেন। তাঁদের গলায় ব…

 



কাঁথি পি কে কলেজের স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন

 কাঁথি পিকে কলেজে স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন বসে থাকার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই কলেজের এনসিসি রুমের মধ্যে বিজেপির কয়েকজন বসেছিলেন। তাঁদের গলায় বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টের পরিচয়পত্র ঝুলছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রাক-মুহূর্তে শুনশান গোটা এলাকা। তারমধ্যে কলেজে এনসিসি রুমে আলো জ্বলতে থাকায় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তৃণমূলের কয়েকজন কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজে গিয়ে বিজেপির এজেন্টদের চেপে ধরেন। সেখানে তাঁদের আটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। 

কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে বলেন, আমাদের কলেজ স্ট্রংরুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাঁথির মহকুমা শাসক এই মুহূর্তে গোটা কলেজের কাস্টডিয়ান। সুতরাং সেখানে কারা গেল, কীভাবে ঢুকল, এসব প্রশ্নের উত্তর আমার দেওয়ার কথা নয়। এনসিসি রুম কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে। এদিন সন্ধ্যায় একজন ফোন করে জানান, সেখানে পার্টির লোকজন আছে। আমি জানিয়েছি, কলেজের কাস্টডিয়ান এসডিও। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কলেজের দু’-একটি জায়গায় বহিরাগতদের দেখা যাচ্ছে। 

কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা সত্ত্বেও কীভাবে বাইরের লোকজন সেখানে ঢুকল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এনিয়ে কাঁথি লোকসভার রিটার্নিং অফিসার বৈভব চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজের বিজেপির অধ্যাপক সংগঠনের এক নেতা এনসিসি রুমটি ব্যবহার করেন। রবিবার সন্ধ্যায় সেই রুমে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কয়েকজন বসেছিলেন। খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজন গেলে তাঁরা স্ট্রংরুম গার্ড দেওয়ার কথা জানান। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের আরও লোকজন জড়ো হতেই বিজেপির এজেন্টদের একজন ছুটে পালিয়ে যান। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা এত ঢিলেঢালা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক স্তরে আধাসেনার নিরাপত্তায় থাকে স্ট্রংরুম। তার ধারেকাছে লোকজন ঘেঁষতে পারে না। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্যাম্প করে পাহারা দেন বা নজরদাবি চালান। কিন্তু স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বসে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্ব আধাসেনা এবং স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনের। সেখানে বাইরের লোকজনের থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের দলের কেউ গিয়েছিলেন বলেও জানা নেই। আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। কাঁথি থানার আইসি প্রদীপকুমার দাঁ বলেন, স্ট্রংরুমে নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি নেই। সেখানে কোনও দলের এজেন্ট কিংবা বহিরাগত কেউ ঢুকতে পারেননি। স্ট্রংরুমের বাইরে কোথায় কী হয়েছে তা জানা নেই।

No comments