Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ইতনায় বর্বরোচিত গণহত্যা দিবসে সকল শহীদদের স্মরণ দিবসটির সরকারি সৃকৃতি রাষ্ট্রিয়ভাবে পালনের বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করার দাবী

ইতনায় বর্বরোচিত গণহত্যা দিবসে সকল শহীদদের স্মরণ দিবসটির সরকারি সৃকৃতি রাষ্ট্রিয়ভাবে পালনের বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করার দাবীসৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক থেকেঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনায় বর্বরোচিত গণহত্যা দিবস আজ ২৩ মে, সক…

 




ইতনায় বর্বরোচিত গণহত্যা দিবসে সকল শহীদদের স্মরণ দিবসটির সরকারি সৃকৃতি রাষ্ট্রিয়ভাবে পালনের বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করার দাবী

 

সৈয়দ খায়রুল আলম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক থেকেঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনায় বর্বরোচিত গণহত্যা দিবস আজ ২৩ মে, সকল শহীদদের স্মরণ ২৩ মে ইতনার গণ হত্যা দিবসে স্কুল এন্ড কলেজ নানা আয়োজনে পালন করছে।

মধুমতি নদীর ওপারে ইতনার চরভাটপাড়া গ্রামে পাক-সেনারা চালায় ২২মে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও মা-বোনদের সম্ভমহানী ঘটিয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। 

 এঘটনার প্রত্যক্ষ অনিল কাপালী চর-ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক ছিল। কৃষক অনিল কাপালীর মা-বোনদের প্রতি অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে তখন সহ্য করতে না পেরে খালি হাতে ঝাপিয়ে পড়ে এক পাক-সেনার ওপর। বীর বাঙ্গালী অনিল কাপালী পাক-সেনার কাছ থেকে তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে দৌড়ে যায় নদীর দিকে। মধুমতি নদীতে অস্ত্র ফেলে নিজে সাঁতার কেটে চলে আসে এপারে ইতনায়। পরের দিন পাক-সেনারা অনিল কাপালীকে ধরতে চর-ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মরক্ষার জন্য চর-ভাটপাড়া বাসীরা বলে কাপালীর বাড়ি ইতনায়। 

পরের দিন ইতনায় গণহত্যার পরিকল্পনা করে ৫ টি নৌবহর ধারা পাক-সেনারা পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে কাক ডাকা ভোরে। তারা ৫ ভাগে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামের ভিতর। মানুষ তখন ঘুমন্ত। কেউ কেউ ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছে। পাক সেনারা প্রথমেই হিমায়েত মিনাকে গুলি করে তখন সে গুলি অবস্থায় বীর দর্পনে" জয়বাংলা" বলে চিৎকার দেয়। এভাবে সে চিৎকার দিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। যতক্ষন সে জয়বাংলা বলেছে ততবার পাক-সেনারা তাকে গুলি করেছে। এর পর আব্দুর রজ্জাক ফজরের নামাজ পড়ে কোরান শরীফ পড়ছে এসময় তাকে গুলি করে। বানছারাম মন্ডল কে গুলি করতে উদ্দ্যোগ নিলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে।

 গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যান, বজলার রহমান, আঃ জলিল, হারুন শেখ সহ অনেকে। ইতনা হয়ে পড়ে ভুতুড়ে গ্রাম। লাশ আর লাশ। দাফন করার মত মানুষ নেই। গ্রামবাসীরা ধর্মীয় সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোন মতে শহীদদের দাফন করে গ্রাম ছাড়া হয়। এ আতংক সবার মধ্যে। 

২৩ মে কমপক্ষে ৩৯ জন গ্রামবাসীকে পাক-সেনারা হত্যা করে। বিছিন্ন ভাবে আরো ১১ জন শহীদ হন ইতনায়, একটা গ্রামে ৫০ জন শহীদের ঘটনা বিশ্ব বিরল, কিন্তু খুলনা বিভাগের মধ্যে ও এ শহীদের ঘটনা স্মৃতি সন্মাননা বা সরকারি ভাবে স্মৃতি ফলক এখন দেখা যায় না। 

দিবসটি উপলক্ষে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতনায় শহীদদের স্মরনে বিকালে আলেচনা সভা ও মিলাদমাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

No comments