Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শান্তিনিকেতন ক্লাবের শ্মশানকালীর পুজোয় মাতোয়ারা এলাকা

শোভারামপুর বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের শ্মশানকালীর পুজোয় মাতোয়ারা এলাকা হলদিয়ার শোভারামপুর বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের শ্মশানকালীর পুজোয় মেতে উঠেছেন গ্রাম ও শহরের মানুষ। প্রতিবছর চৈত্র শেষের বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে শ্মশানকালীর আরা…


 

শোভারামপুর বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের শ্মশানকালীর পুজোয় মাতোয়ারা এলাকা

 হলদিয়ার শোভারামপুর বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের শ্মশানকালীর পুজোয় মেতে উঠেছেন গ্রাম ও শহরের মানুষ। প্রতিবছর চৈত্র শেষের বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে শ্মশানকালীর আরাধনা হয়। কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় বার্ষিক কালীপুজোয়। শ্মশানকালী পুজোয় পাঁঠা বলি বিশেষ রীতি এবং এই উপলক্ষে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এবছর ২৩তম বর্ষে কালীপুজোর পাশাপাশি বড় আকারে শান্তিনিকেতন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের উৎসব। 

হলদিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০১ সালে শোভারামপুরের একপ্রান্তে বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের সূচনা হয়। শ্মশান এলাকার পাশে একটি প্রাচীন বটগাছের তলায় খড়ের চালাঘর বেঁধে তৈরি হয় ক্লাব। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অশোক উত্থাসিনী, রাজকুমার সামন্ত, অশোক মিশ্র, শ‍্যামাপদ উত্থাসিনী, অসীম পড়ুয়া। ধীরে ধীরে শ্মশানকালীর মন্দির, পাকা ক্লাবঘর গড়ে ওঠে এবং বছরভর চলে নানা ধরনের সামাজিক কাজ। চারদিকে সবুজ ঘেরা শান্ত গ্রামীণ এলাকা এবং প্রাচীন বটগাছকে স্মরণীয় করে রাখতেই ক্লাবের নামকরণ করা হয়েছে ‘বটতলা শান্তিনিকেতন’।

ক্লাব সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, উদ্বাস্তু হওয়া সহৃদয় এক ব্যক্তি এই ক্লাব গড়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন। বটতলা শান্তিনিকেতন ক্লাবের পুজো ও উৎসব এক মিলনমেলায় পরিণত হয় প্রতিবছর। শান্তিনিকেতন উৎসব গত দু’দশকে শোভারামপুরের মানুষের কাছে মেলবন্ধনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। ক্লাব সভাপতি অসীম পড়ুয়া ও ক্লাব সম্পাদক রাজকুমার সামন্ত বলেন, একসময় ক্লাব সদস্যরা চাষবাস করে, কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে পুজো ও অনুষ্ঠান করতেন। এখন বিভিন্ন সংস্থা সামাজিক কাজের জন্য সহযোগিতা করেন, ক্লাব সদস্যরা তহবিল গড়েছেন।

এবছর ৬-৮ এপ্রিল তিনদিন ধরে শোভারামপুরে হচ্ছে শান্তিনিকেতন উৎসব। শনিবার পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য আজিজুল রহমান, প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পট্টনায়ক সহ বিশিষ্ট মানুষজন। ওইদিন এলাকার ১০০জন প্রবীণ নাগরিককে সম্মান জানানোর পাশাপাশি ছাতা উপহার দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া শতাধিক আইসিডিএস পড়ুয়াকে স্কুল ব্যাগ ও দুঃস্থদের বস্ত্রদান করা হয়েছে। রবিবার কালীমায়ের পুজো উপলক্ষে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।

No comments