Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অশ্রুত প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল দিতে ব্যর্থ ! উদ্বোধন হলেও পৌর এলাকায় পৌঁছলো না বাড়ি বাড়ি জল

অশ্রুত প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল দিতে ব্যর্থ ! উদ্বোধন হলেও পৌর এলাকায় পৌঁছলো না বাড়ি বাড়ি জল
 হলদিয়া শহরে ব্যাপকহারে অশ্রুত প্রকল্পের ওয়াটার মিটার চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে বাড়ি বাড়ি জলসংযোগের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।…

 






অশ্রুত প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি জল দিতে ব্যর্থ ! উদ্বোধন হলেও পৌর এলাকায় পৌঁছলো না বাড়ি বাড়ি জল


 হলদিয়া শহরে ব্যাপকহারে অশ্রুত প্রকল্পের ওয়াটার মিটার চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে বাড়ি বাড়ি জলসংযোগের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রবল গরমের কারণে শহর জুড়ে পানীয় জল ও ব্যবহার্য জলের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু বাসিন্দাদের চাহিদামতো সেই জল সরবরাহে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হলদিয়া পুরসভার। গ্রীষ্মে শহরের জলস্তর হু হু করে নামতেই ওয়ার্ডগুলিতে জল সঙ্কট তীব্র হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় পুর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাকে ইস্যু করছে বিরোধীরা। বাসিন্দাদের ক্ষোভ সামলাতে অবশ্য জরুরিভিত্তিতে কাজে নেমেছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে অশ্রুত প্রকল্পের ওভারহেড রিজার্ভার ও পাম্প চালু করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। কোনও ওয়ার্ডে গভীর নলকূপ বসিয়ে পাম্পের সাহায্যে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছে পুরসভা। এজন্য পাম্প কিনতে আপৎকালীন টেন্ডারের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে নলকূপ এবং সাবমার্সিবল পাম্প সারাতে ইমারজেন্সি টিম তৈরি হয়েছে। ছুটির দিনেও ওই টিম কাজ করছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকার ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। বাকি ওয়ার্ড গুলিতে টিউবঅয়েল ও সাবমার্সিবলই ভরসা। গরম পড়লেই জলস্তর নেমে গিয়ে পুর এলাকায় প্রতিবারই জলসঙ্কট দেখা দেয়। এবার জলসঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে। গত ৫-৭ বছর ধরে কেনা জলে তেষ্টা মেটাতে গিয়ে বাসিন্দাদের খরচ অনেক বেড়েছে। এবার পুর বাসিন্দাদের জল কেনার খরচ আরও বেড়েছে। তবে স্নান ও গেরস্থালির ব্যবহারের জন্য নলবাহিত জল ব্যবহার করেন সবাই। পুরএলাকায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল পৌঁছে দিতে ২০১৬ সালে অশ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এজন্য কয়েক দফায় ৮০কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহের জন্য ৯টি ওভারহেড রিজার্ভার ও পাম্প হাউস বছর পাঁচেক আগে তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর উদ্বোধনও হয়, কিন্তু চালু হয়নি। উদ্বোধনের পরও প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের (এমইডি) ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ এবং ঠিকাদারের গড়িমসিতে প্রকল্প সময়মতো চালু করা যায়নি। ১৮ নম্বর সহ একাধিক ওয়ার্ডে পাইপলাইন বসেনি এখনও।ভোটের মুখে এবার তড়িঘড়ি অশ্রুত প্রকল্প চালু করতে গিয়ে মহাবিভ্রাট তৈরি হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অশ্রুত প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি পরিবারের জলের লাইনের সঙ্গে বাড়িতে একটি ওয়াটার মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক। ওই মিটারের সাহায্যে জল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি চালাবে পুরসভা। কিন্তু মিটার লাগানোর পরই তা ব্যাপক হারে চুরি হচ্ছে। পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রজনাথচক এলাকায় প্রায় ২২০০ বাড়িতে জলের লাইন সংযোগ ও মিটার বসানোর হয় কয়েক মাস আগে। অভিযোগ, দেড় হাজারের বেশি ওয়াটার মিটার চুরি হয়ে গিয়েছে। ফলে জলের সংযোগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পুরসভা। একই পরিস্থিতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিবেদিতানগর কলোনি এলাকায়। বাসিন্দারা চুরির ভয়ে সব মিটার খুলে রেখেছেন। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, গরমে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে আপাতত ওয়াটার মিটার ছাড়াই ২১ নম্বর ওয়ার্ডে রায়রাঞক্র্যাচক, ১৯ নম্বরে নিবেদিতা কলোনি এবং আজাদহিন্দ নগরে অক্ষতের চারটি রিজার্ভার চালু করেছি। গান্ধীনগর, পীতাম্বরচক সহ আরও তিন চারটি তাড়াতাড়ি চালু করার চেষ্টা চলছে। রায়রাঞ্যাচকে অশ্রুতের প্রকল্প চালু হওয়ায় বহু বছরের জল সঙ্কট মিটেছে বলছেন বাসিন্দারা। ৭নম্বর ওয়ার্ডে ঝিকুরখালি এলাকায় জলসঙ্কট মেটাতে কমিশনকে পাম্প কেনার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেপুরসভা।

No comments