নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিসের ডিসিনির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিসের ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) সৌম্য রায়কে। তিনি সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে…
নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিসের ডিসি
নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিসের ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) সৌম্য রায়কে। তিনি সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, অবিলম্বে আইপিএস সৌম্য রায়কে কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের (বেহালা) ডিসি পদ থেকে সরাতে হবে। ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনও পদেই তাঁকে রাখা যাবে না। সৌম্যর পরিবর্ত তিনজন আইপিএসের নাম আজ বুধবার জানাতে বলেছে কমিশন। একুশের ভোটেও একইভাবে তাঁকে সরানো হয়। ওইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গসহ ছয় রাজ্যে বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন।
সৌম্য রায়ের বদলি নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেউ বিধায়ক হলে তাঁর স্বামী অফিসার থাকতে পারবেন না! কমিশন নিয়ে কোনও কথা বলব না। আমি বলব সুবিচারের কথা। ইডি, সিবিআই, আইটি বিজেপির মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ করেছে?’ মমতা আরও বলেন, ‘আপনি ডাক্তার, আপনার স্ত্রী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না? স্ত্রী অধ্যাপক হলে তাঁর স্বামী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না? এ আবার কী? সৌম্য তো আইপিএসের চাকরি পেয়েছেন বিয়ের আগেই। বিজেপি যা বলবে, তা-ই শুনতে হবে! বিজেপির দালালির জন্য একটা ভাঁওতাবাজ সরকার তৈরি হয়েছে। শুধু মিথ্যা কথা বলে। এটা তো রাজ্যের ভোট নয়। তা হলে রাজ্যের অফিসারকে কেন সরানো হচ্ছে? কেন্দ্রের ক’জনের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’
অন্যদিকে, বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব ক্যাডারের দুই অবসরপ্রাপ্ত দুঁদে অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অলক সিনহাকে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ পর্যবেক্ষক (সাধারণ) হিসেবে। আর প্রাক্তন আইপিএস অনিলকুমার শর্মা পেয়েছেন বাংলায় বিশেষ পর্যবক্ষেক (পুলিস)-এর দায়িত্ব। তাঁরা বিভিন্ন জেলা ঘুরে রিপোর্ট দেবেন। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকাতেও নজরদারিতে জোর দেবেন তাঁরা।
অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশের মতো ছয় রাজ্যেও বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠানো হচ্ছে।
No comments