Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিদেশি পোকার হদিশ পাওয়া গেল

বিদেশি পোকার হদিশ পাওয়া গেল
থাইল্যান্ড, চিন এবং ভিয়েতনামে পাওয়া ঘুর্ঘুর পোকার হদিশ মিলল দক্ষিণ গারো পাহাড়ে। এই খোঁজের পিছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে কোচবিহারের এক বাঙালি বিবেক সরকারের। আশ্চর্যজনক তথ্য হল, ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়া…

 


বিদেশি পোকার হদিশ পাওয়া গেল


থাইল্যান্ড, চিন এবং ভিয়েতনামে পাওয়া ঘুর্ঘুর পোকার হদিশ মিলল দক্ষিণ গারো পাহাড়ে। এই খোঁজের পিছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে কোচবিহারের এক বাঙালি বিবেক সরকারের। আশ্চর্যজনক তথ্য হল, ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার, ভুটান, বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় এই প্রজাতির পতঙ্গ মেলার কোনও নথি নেই। তাই ভারতে বিকার্টিনা কাটো বংশের সুদৃশ্য এই সিকাডা অর্থাৎ ঘুর্ঘুর খুঁজে পাওয়া বেশ চমকপ্রদ বিষয়। জুট্যাক্সা জার্নালে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে এই খোঁজের বিষয়টি।

দেরাদুনের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার গবেষক বিবেক এবং নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটির জুলজি বিভাগের গবেষক রোডসন থ্যাঙ্গখিউ আলাদা আলাদা জায়গায় এই পোকার হদিশ পেয়েছেন। এছাড়াও এই গবেষক দলে ছিলেন কুক্কু মহাপাত্র, সুধন্যা আর হাজং, মনোজ ভি নায়ার, প্রত্যুষ পি মহাপাত্রের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক-শিক্ষকরা। এই খোঁজের পিছনে গল্পটি বেশ চমকপ্রদ। ২০১৭ সালে এই পোকার প্রথম খোঁজ পান বিবেক। আর রোডসন এবং সুধন্যা ২০২০ সালে দক্ষিণ খাসি পাহাড়ের রি ভয় জেলায় পতঙ্গটির অস্তিত্ব রেকর্ড করেন। পতঙ্গটি একই বলে জুট্যাক্সা জার্নাল সবাইকেই একসঙ্গে কৃতিত্ব দিয়ে খবরটি ছেপেছে। তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই বিবেকের। তিনি স্বীকৃতি পেয়ে খুশি।

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এটি অন্যান্য ঘুর্ঘুর পোকার মতোই শব্দ করে। তবে এর পাখনা এতই সুন্দর যে, একনজরে মথ বা প্রজাপতি হিসেবে ভুল হতে পারে। এটিকে তাই বাটারফ্লাই সিকাডাও বলা হয়ে থাকে। বিবেক বলেন, ‘রুফর্ড স্মল গ্রান্টের টাকায় এই অভিযান চালিয়েছিলাম। এ ধরনের আবিষ্কারে প্রমাণ হয়, মেঘালয়ের পাহাড়গুলি জীববৈচিত্রে কতটা সমৃদ্ধ। সেখানে এ ধরনের আরও অভিযান চালানো উচিত।’ 

ভারতবর্ষ সিকাডার সবচেয়ে বড় চারণভূমি। তবে গত শতাব্দীর প্রথম দিকে বেশ কিছু কাজ হলেও তারপর এগুলির খোঁজ কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি এ ধরনের আরও কিছু পতঙ্গ মিলেছে, যা ভারতে কখনও দেখা যায়নি। এ ধরনের পতঙ্গের জৈবিক বিভিন্ন দিক এবং তথ্য এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।

No comments