রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৯০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৯০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। কোভিড কাল থে…
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৯০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৯০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। কোভিড কাল থেকে মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে অসাধ্য সাধন করেছে আরবিআই। অথচ, সেই কৃতিত্ব নিতে নারাজ দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কই! প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে তারা সাফ জানিয়ে দিচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি শিখরেই রয়েছে। শুধু তাই নয়, গরমের মরশুমে সব্জিসহ খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আরবিআই। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে এখন থেকেই কড়া নজরদারি দরকার। আর এই কঠোর বাস্তবের সামগ্রিক ফল? মধ্যবিত্তকে লাগামছাড়া ইএমআইয়ের জাঁতাকলে পিষে অপরিবর্তিতই থাকল রেপো রেট। অর্থাৎ সেই সাড়ে ৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দাবির উপর আস্থা রেখে বাড়ি-গাড়ির চড়া সুদের হার থেকে স্বস্তি মেলার যে আকাশকুসুম আশা মধ্যবিত্ত করছিল, তাতে জল ঢেলে দিল কেন্দ্রই।
একটানা দু’বছর। বেনজিরভাবে রেপো রেট হয় বেড়েই চলেছে, অথবা উচ্চ হারের রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখে দেওয়া হচ্ছে। ধন্দটা এখানেই। কারণ, একদিকে নরেন্দ্র মোদি লাগাতার ঘোষণা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেই আছে। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাফাই, মূল্যবৃদ্ধির জন্যই রেপো রেট কমানো যাচ্ছে না। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সঠিক চিত্র কোনটা? মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মোদি সাধুবাদ দিচ্ছেন আরবিআইকে। আর কীভাবে খাদ্যপণ্যের দাম আয়ত্তের মধ্যে রাখা যায়, তা নিয়ে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বরং নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকের পর তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘গমের মূল্য কিছুটা হয়তো নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু সব্জিসহ অন্য খাদ্য সূচক নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। চড়া হারে মূল্যবৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।’ শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ‘আবহাওয়া বিভাগ যেভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে, তাতে সব্জির দামের ব্যাপারে এখন থেকেই চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। গম নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু গরমের মরশুমে বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কিছু রাজ্যে। সেক্ষেত্রে সব্জির জোগান কমবে। এবং দাম বাড়বে।’ মূল্যবৃদ্ধিকে কার্যত হাতির সঙ্গে তুলনা করে গভর্নরের বক্তব্য, ‘হাতি খুব ক্ষীণ গতিতে হাঁটছে। অর্থাৎ যে হারে মূল্যবৃদ্ধির হার কমার প্রত্যাশা ছিল, সেটা হচ্ছে না। আগামী অক্টোবর মাসের আগে রেপো রেট কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারক কমিটি মনে করছে, নয়া আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মূল্যবৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে যে, তখন রেপো রেট কমবে কি না! তাহলে অক্টোবর মাস পর্যন্ত? মধ্যবিত্তের শিরে সংক্রান্তি।
No comments