বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কর্মীদের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা উধাও!তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কর্মীদের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা উধাও! প্রচারে তেমন ভিড় হচ্ছে না আর। আচমকা প্রার্থীকে নিয়ে কর্মীদের এই গাছা…
বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কর্মীদের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা উধাও!
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কর্মীদের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা উধাও! প্রচারে তেমন ভিড় হচ্ছে না আর। আচমকা প্রার্থীকে নিয়ে কর্মীদের এই গাছাড়া মনোভাব দেখে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার তমলুক শহরে প্রচার কর্মসূচিতে ছিলেন প্রার্থী। শহরের জেলখানা মোড় থেকে বানপুকুরের দিকে প্রার্থী এগিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন ২৫ থেকে ৩০জন বিজেপি কর্মী। শহরের কয়েকজন চেনা নেতা ছাড়া উৎসাহী কর্মীদের ভিড় একেবারেই ছিল না। গোটা দিনের প্রচারে প্রার্থীকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনার ছবি কার্যত উধাও। আর এনিয়েই উৎকণ্ঠায় রয়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিন বেলা ১১টায় তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর থেকে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অভিজিৎবাবুর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের তমলুক লোকসভার ইনচার্জ অনুপম মল্লিক, নগর মণ্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতারা পৌঁছে যান। যদিও এক ঘণ্টা পর প্রার্থী রাধাবল্লভচকে পৌঁছান। রাধাবল্লভপুর থেকে প্রার্থী মানিকতলা বাজারে জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন। তারপর গাড়িতে ওঠে শহরের জেলখানা মোড়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বানপুকুর পাড় অবধি যান। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মালা চড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর ১২নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি বিল্ডিং পরিদর্শন করেন।
দুপুরে ১৩নম্বর ওয়ার্ডে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিশ্রাম নেন। বিকালে নারায়ণপুর কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচিতে শামিল হন। তারপর নিমতলা মোড়ে সতীশ সামন্তের মূর্তিতে মাল্যদান সেরে জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন। সন্ধ্যায় বর্গভীমা মন্দির পাড়ায় যান। সারাদিনের এই কর্মসূচিতে হাতেগোনা কর্মী-সমর্থক ছিলেন। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে এদিন তমলুক পুরসভার দলের দুই কাউন্সিলার জয়া দাস নায়েক এবং শর্বরী চক্রবর্তী ভট্টাচার্য ছিলেন।
প্রার্থী ঘোষণার আগেই গত ১২মার্চ অভিজিৎবাবু তমলুকে জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে এসেছিলেন। সেদিন তাঁকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তারপর প্রার্থী ঘোষণার একদিন বাদে তিনি তমলুকে এসে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। এরমধ্যেই তাঁর বেশকিছু বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। যার সর্বশেষ সংযোজন, নন্দকুমারের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সুকুমার দে-কে তিহার পাঠানোর হুমকি।
এদিন প্রচারের ফাঁকে অভিজিৎবাবু ফের বলেন, আমি কোনও বিধায়কের নাম নিইনি। শুধু বলেছি, নন্দকুমারের বিধায়ক কেবল দুর্নীতি নয়, সন্ত্রাস সৃষ্টিরও চেষ্টা করছেন। আমি তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছি।
বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডলের সহ সভাপতি অরিন্দম খাটুয়া বলেন, বুধবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া ছিল। তাই প্রার্থীর সঙ্গে নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। কর্মীদের সেভাবে জমায়েত ছিল না। কিন্তু, প্রচার পর্বে সভা, মিছিলে বিপুল ভিড় হচ্ছে। বুধবার প্রচার চলাকালীন সভা কিংবা র্যালি ছিল না।
*আরো নিত্য নতুন আপডেট খবর দেখতে
আমাদের whatsapp চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন*
WhatsApp channel link - https://whatsapp.com/channel/0029VaCqqNUGk1FyEgWxaZ2r
No comments