Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তাপপ্রহাও চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত

তাপপ্রহাও চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত
তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। পারদের মাত্রায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে পানাগড়। শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের এই শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমে সব থেকে বেশি। শুধু রাজ্যে নয়, সম্ভবত …

 


তাপপ্রহাও চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত


তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। পারদের মাত্রায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে পানাগড়। শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের এই শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমে সব থেকে বেশি। শুধু রাজ্যে নয়, সম্ভবত গোটা দেশেই এদিন তপ্ত শহরের স্বীকৃতি পেতে চলেছে পানাগড়। পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য শহরও। উপকূল এলাকা বাদ দিয়ে প্রায় সর্বত্রই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির উপর। ফলে আবহাওয়া দপ্তর পশ্চিমের জেলাগুলিতে চরম সতর্কতা জারি করেছে। অন্যত্র রয়েছে কমলা সতর্কতা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এই পরিস্থিতি আগামী বুধবার পর্যন্ত থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ঘাম ঝরা গরম অনুভূত হবে। 

কলকাতা ও শহরতলি এদিনও ঝলসেছে রোদের তেজে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগের দিনের থেকে কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমে রেকর্ড। দমদম ৪১-এর কাঁটা ছুঁলেও বারাকপুর ৪৩ ডিগ্রি স্পর্শ করেছে। সল্টলেকও সমান তালে পাল্লা দিয়েছে কলকাতার সঙ্গে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ হেরফের হবে না। অর্থাৎ তাপপ্রবাহ চলতেই থাকবে। আজ, রবিবার অস্বস্তির মাত্রা থাকবে অস্বাভাবিক। এই দিন স্বাভাবিকের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তবে সোম, মঙ্গল ও বুধবার পারদ কিছুটা নামলেও স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ডিগ্রি বেশি থাকবে। ফলে গা-জ্বালা ভাব কেটে যাওয়ার লক্ষণ এখনই নেই।

এরমধ্যেই কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। তারা বলেছে, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাতে বিশেষ স্বস্তি মিলবে বলে মনে হয় না। আজ, রবিবার দুই মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে তাপপ্রবাহের অতি চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে থাকছে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা।

উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা উষ্ণ ও শুষ্ক হাওয়ার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সঙ্গে সূর্যের চড়া রশ্মি ঝলসে দিচ্ছে জনপদকে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এতটাই কমে গিয়েছে যে, মেঘের দেখা মিলছে না। এই গরম থেকে রেহাই দিতে পারে একমাত্র কালবৈশাখী। ঘন ঘন ঝড়-বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। তাই চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আম জনতা।

এদিকে, শনিবার হয়েই রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গেল। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধ মেনে সোমবার থেকে ছুটি দিচ্ছে কলকাতার ডিপিএস, রুবি পার্ক। তারা জানিয়েছে, জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষাগুলি চলবে। 

No comments