পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর বাজারের উপর বিধ্বংসী আগুনে ভস্মিভূত কয়েকটি দোকান।সূত্রে জানা যায় চৈতন্যপুর থেকে মেচেদা দিকে যেতে বাঁদিকে কয়েকটি দোকান অস্থায়ীভাবে বসে রয়েছে। রয়েছে চা দোকান খাওয়ার দোক…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর বাজারের উপর বিধ্বংসী আগুনে ভস্মিভূত কয়েকটি দোকান।
সূত্রে জানা যায় চৈতন্যপুর থেকে মেচেদা দিকে যেতে বাঁদিকে কয়েকটি দোকান অস্থায়ীভাবে বসে রয়েছে। রয়েছে চা দোকান খাওয়ার দোকান এবং অন্যান্য বহু দোকান। জানাযায়, চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বেলা বারোটা নাগাদ আগুন লাগে। রবিবার ছুটির দিন বিধ্বংসী আগুনে ভষ্মিভূত চৈতন্যপুর বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ।
অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে নগেন্দ্র মিষ্টান্ন ভান্ডার তাদের আবাসিক বাড়ি।দোকানের পেছনেই তাদের বাড়ি। সূত্রে জানা যায় ঐ দোকানগুলি রয়েছে জলের ড্রেনের লাইনের উপরেই সারা বছরই চৈতন্যপুর বাজারের নোংরা জল পেরিয়ে সাধারণ মানুষকে পারাপার হতে হয়। খাবারের দোকানের নোংরা জল পাশাপাশি ওই এলাকার মোড়ের সমস্ত জল জমে থাকে ওই সকল দোকান গুলির সামনে।
যে সকল দোকান খাওয়ারের জন্য রান্নাবান্না করছেন দমকলের বা প্রশাসনিকভাবে তাদের কোন ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি? এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
সাধারণ মানুষের দাবি প্রশাসনের উদাসীনতার জন্য এই ধরনের ভয়াবহ আগুন। কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি হলদিয়া বন্দর ডিজিটাল অনলাইনে জানান আমরা চৈতন্যপুর থেকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ আগুন দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। এক সপ্তাহ আগেই আমরা দেখলাম বিপিসিএল কারখানার সামনে একটি চায়ের দোকানে আগুন। ওই আগুন ভয়াবহ যদি হতো তাহলে বি পিসিএল গ্যাস ভর্তি ট্র্যাঙ্ক বাস্ট হয়ে যেত। তাহলে বহু মানুষ মারা যেত। গত পরশুদিন শুক্রবার রাতে দুর্গাচক সুপার মার্কেটে আগুন লেগে প্রায় ১৫ টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। হলদিয়া শহরকে গ্রীন হলদিয়া ক্লিন হলদিয়া সকলেই শ্লোগান তুলেন কিন্তু বাস্তবায়িত করার জন্য প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। প্রচন্ড দাবদাহ চলছে তারই মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে শিল্পশহর হলদিয়ায় আগুনের তাণ্ডব চলছে, নিরব দর্শকের মতো দেখছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে রাস্তার উপরে যে দোকানগুলি রয়েছে তাদের বৈধতা বিচার করে দোকান বসানো হোক।
No comments