আগামী সপ্তাহে রবিবার সোমবার নাগাদ ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে
দাবদাহ থেকে নিস্তার নেই চলতি সপ্তাহেও। কিন্তু আশার কথা দু’টো। প্রথম, তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়বে না। দ্বিতীয়, আগামী রবি-সোমবার নাগাদ (৫-৬ মে) ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল…
আগামী সপ্তাহে রবিবার সোমবার নাগাদ ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে
দাবদাহ থেকে নিস্তার নেই চলতি সপ্তাহেও। কিন্তু আশার কথা দু’টো। প্রথম, তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়বে না। দ্বিতীয়, আগামী রবি-সোমবার নাগাদ (৫-৬ মে) ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত রবিবার জানিয়েছেন, ওই সময় বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জলীয় বাষ্প সক্রিয় থাকার জেরে শক্তিশালী বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত আগামী কয়েকদিন শুধু হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে রবিবার সন্ধ্যার পর দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তা থেকে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া কর্তা জানিয়েছেন।
উত্তর-পশ্চিমি শুষ্ক ও উষ্ণ বাতাস এবং চড়া রোদের দাপটে রবিবারও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র থেকে সাধারণ তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল। এদিনও উষ্ণতম স্থান ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা (৪৪.৩ ডিগ্রি)। কলকাতাও ছিল ৪০ ডিগ্রির উপরে। বরং শনিবারের থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে এদিন হয় ৪১.৩ ডিগ্রি। এই পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা বজায় রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর। জেলাগুলি হল- দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে তীব্র ও সাধারণ তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা থাকছে এই সময়ে। উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দুই দিনাজপুরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তীব্র থেকে সাধারণ তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া কর্তা জানিয়েছেন, রবিবারের পর তাপমাত্রা আরও বাড়বে এমন সম্ভাবনা বিশেষ নেই। বরং তাঁর ইঙ্গিত, কয়েকদিন পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
শনিবার কলাইকুণ্ডাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.৮ ডিগ্রি রেকর্ড হলেও আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্টে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়ালকে (৪৪.৯) দেশের উষ্ণতম জায়গা বলে জানানো হয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আসানসোল (৪৪.৬)। এই প্রসঙ্গে সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, কলাইকুণ্ডার তাপমাত্রা পরিমাপ কেন্দ্রটি বায়ুসেনা পরিচালনা করে। ওই কেন্দ্রটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার কাছে নথিভুক্ত না হওয়ায় সেখানকার তাপমাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কলাইকুণ্ডাকে নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পানাগড়ের তাপমাত্রা কেন্দ্রটিও বায়ুসেনা পরিচালনা করে।
No comments