২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ২৪০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প, অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রায় সাড়ে পাঁচশো। আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গো…
২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ২৪০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প, অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রায় সাড়ে পাঁচশো। আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই জেলায় ১৪০জন শিক্ষক এবং ৪০৬ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি খারিজের রায় দিয়েছিলেন। ওইসব শিক্ষকদের নাম, স্কুলের নাম এবং ওএমআর শিট প্রকাশ্যে এসেছিল। গোটা রাজ্যে ভুয়ো প্রমাণিত ৫৩০০ জনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কমপক্ষে সাড়ে পাঁচশো জন আছেন। তবে, বিকাশ ভবন থেকে তালিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) দপ্তর। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় ওই শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা কেউই ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। সেজন্য জেলা প্রশাসনও ওই তালিকা হাতে পেতে চাইছে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, ২০১৬সালের প্যানেলে একাধিক দফায় নিয়োগ হয়েছিল। দু’হাজারের বেশি নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কাদের চাকরি বাতিল, সেটা বিকাশভবন থেকে তালিকা না এলে বোঝা মুশকিল।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২৩ সালে ১ ও ৩ মার্চ স্কুল সার্ভিস কমিশন দু’দফায় গোটা রাজ্যে ৬১৮ ও ১৫৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দু’দফায় ১০৫ ও ৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম ছিল। তাঁদের সাময়িক মাইনে বন্ধ হয়েছিল। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফের স্কুলে জয়েন করেন। তাতে নন্দকুমার ব্লকে বেতকল্লা মিলনী বিদ্যানিকেতন, পাঁশকুড়ার রানিহাটি হাইস্কুল, পটাশপুরের গোকুলপুর মদনমোহন শিক্ষা নিকেতন, বড়হাট শম্ভুনাথ বাণীপীঠ, এগরার ছত্রী বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন, খেজুরির হলুদবাড়ি হাইস্কুল, নন্দীগ্রামের মহেশপুর হাইস্কুল, কালীচরণপুর ডিএম হাইস্কুল, নন্দীগ্রাম হাইস্কুল, কাঁথি শহর রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠ, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জামিট্যা আদর্শ হাইস্কুলের একজন করে শিক্ষকের নাম ছিল।
পাশাপাশি এই জেলায় হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে আগে ৪০৬ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি খারিজ হয়েছিল।
No comments